ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

মৃত্যুর প্রহর গুনছে ডিভিডি

সাব্বিন হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১১
মৃত্যুর প্রহর গুনছে ডিভিডি

ডিভিডির দিন ফুরাচ্ছে। এ ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণ মাধ্যম আর মাত্র ক’বছরই বিশ্ববাজারে টিকে থাকবে।

এমন কথাই বলছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেরা। সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান মানোন্নয়নে একে একে বিদায় নিয়েছে ফিতার রেকর্ডার, ফ্লপি ডিস্ক এবং সিডি। এবার ডিভিডির পালা। বিখ্যাত হলিউড চলচ্চিত্র পরিমণ্ডলেও এখন ডিভিডি কদর হারাতে বসেছে।

গত ক’বছরের তুলনাচিত্রে ধাপে ধাপে বাজার চাহিদা আর বিপণন খতিয়ানে ঋণাত্মক দিকনির্দেশনার পথে এগিয়েছে ডিভিডি। এর অর্থ, বহনযোগ্য তথ্য সংরক্ষণ মাধ্যম ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে।

আর এ আসনটি চলে যাচ্ছে অনলাইন সংস্কৃতির উন্মুক্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। ফলে তথ্য বিশ্ব ইন্টারনেট সংস্কৃতির অফুরন্ত খনির দিকেই নিজেকে সংরক্ষিত করতে শুরু করেছে।

এরই মধ্যে বিশ্বের সর্বাধিক চলচ্চিত্র উৎপাদন ক্ষেত্র হলিউডে ডিভিডির প্রভাব কমতে শুরু করেছে। নতুন নতুর চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাই ডিভিডির পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রচারণায় বিনিয়োগ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। এটি ডিভিডি শিল্পের জন্য মোটেও সুখকর বার্তা নয়।

এ সময়ের আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যা খুব দ্রুতই তার গতিপথ বদলে নিচ্ছে। এ পথে কোনো কিছুই খুব বেশি দিন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারছে না। উল্লেখ্য, গত এক বছরে ডিভিডি এবং ব্লুরে ডিস্ক ২০ ভাগ বাজার হারিয়েছে।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনপিডি সূত্র জানিয়েছে, আর গত ছয় মাসে ডিভিডি শতকরা ১০ ভাগ বাজার হারিয়েছে। আধুনিকতার উত্তাপে এখন টিকে থাকার লড়াই করছে ডিভিডি শিল্প। এ বছরের প্রথমভাগেই ২৬০ কোটি থেকে ২১০ কোটি ডলারের নেমে এসেছে ডিভিডির বিক্রি।

উল্লেখ্য, ডিভিডির বাজার প্রতিযোগিতায় অন্যতম দু প্রতিন্দন্দ্বী হচ্ছে ব্লুরে ডিস্ক এবং এইচডি ডিভিডি। কিন্তু কালের আবর্তে এ তিনটি শিল্পই এখন কঠিন বাজার প্রতিযোগিতার সম্মুখীন। ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপ জানিয়েছে, ডিজিটাল বিনোদন শিল্পে ব্লুরে ডিস্ক আরও কিছুটা সময় টিকে থাকলেও। ডিভিডির হাতে আছে আর মাত্র এক থেকে দু বছর।

লাইভইন্টারনেটের পরিচালক জার্মান কিলিমেনকো জানান, ডিভিডির এখন অস্তিত্ব হারাচ্ছে। অনলাইনভিত্তিক ডিজিটাল শিল্পের দ্রুত মানোন্নয়নে ডিভিডি অসহায় আত্মসর্মপণ এখন দৃশ্যমান। তাছাড়া এসময় বহনযোগ্য পণ্যগুলো ভোক্তাদের জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে উঠেছে। তাই এ ডিভিডি শিল্প আগামী দু থেকে তিন বছরের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

ফলে ডিজিটাল বিশ্বের সামনে নিজেকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর হাতছানি। অন্যদিকে ডিভিডির ঘর গুটিয়ে নেওয়ার পালা। এভাবেই ডিজিটাল শিল্প ক্রমশ তার খোলস বদলের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময় ২১৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।