ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ঢাকায় উদ্ভাবনী মেলা

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১১
ঢাকায় উদ্ভাবনী মেলা

ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে আজও চলছে উদ্ভাবনী মেলা২০১১। তিন দিনব্যাপী এ প্রযুক্তিকেন্দ্রিক প্রদর্শনীর সময় একদিন বাড়িয়ে ৯ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।

সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, টানা দু দিন হরতাল আর বৃষ্টির কারণে অনেক দর্শনার্থী এ প্রদর্শনীতে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও উপস্থিত হতে পারেননি। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আয়োজক কর্তৃপক্ষ প্রদর্শনীর সময় একদিন বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ প্রদর্শনীর যৌথ আয়োজক বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত এটুআই প্রকল্প। এ প্রদর্শনীতে সরকারি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন বিভাগের ৮০টি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরাসরি তাদের সেবাপণ্য উপস্থাপন করছে।

এ প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে অংশগ্রহণকারী ৩১টি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা২০১১ পুরস্কার দেওয়া হবে। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ক সেমিনারে আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার এটি দ্বিতীয় আসর।

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি কাজে তথ্যপ্রযুক্তির পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এরই মধ্যে ই-জিপি সিস্টেম ও ওয়েবসাইট তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এরই মধ্যে দেশের সব উপজেলাকে মোবাইল ফোনভিত্তিক ইন্টারনেটের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এ মুহূর্তে সারাদেশে ২৮২টি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। এছাড়াও দেশের ৫৬টি জেলায় এবং ৫৭টি উপজেলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করতে অবকাঠামো নির্মাণ আগামী বছরের মধ্যেই শেষ হবে।

উল্লেখ্য, এক হাজার ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার সেবা সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে ওয়াইম্যাক্সের সেবার আওতা বাড়ানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোকেও এ সেবার অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

২০১২ সালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ই-কমার্স চালু করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। আইসিটি ইনকিউবেটর স্থাপনে কাজ চলছে। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে আইটি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনপত্র, পরীার ফলাফল, রেলওয়ের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। যা সাধারণ মানুষ উপভোগ করতে পারেন।

এরই মধ্যে ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে বিভিন্ন সরকারি ফরম, সরকারি গেজেট, সরকারি ঘোষণা, ইমিগ্রেশন তথ্য, পাসপোর্ট ও ভিসা তথ্য, চাকরি তথ্য, পাবলিক পরীার ফলাফলসহ সরকারি সেবাগুলো ইন্টারনেটেই সহজলভ্য করা হচ্ছে।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল অবকাঠামোর কোনো বিকল্প নেই। এ উদ্দেশ্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এ উদ্ভাবনী প্রদর্শনীতে সরকারের ডিজিটাল খাতগুলোর সবশেষ উন্নয়ন সম্পর্কে সাধারণ জনগণ অবহিত হতে পারবেন বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময় ২২০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।