ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘প্রত্যেকটা মানুষকে প্রযুক্তির সংস্পর্শে আনতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৬
‘প্রত্যেকটা মানুষকে প্রযুক্তির সংস্পর্শে আনতে হবে’

ঢাকা: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থে গড়তে হলে প্রত্যেকটা মানুষকে প্রযুক্তির সংস্পর্শে আনতে হবে। অন্যথায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

শুক্রবার (১৩ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গ্রীষ্মকালীন ল্যাপটপ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বড় একটা ব্যাপার, যে আমরা পারি। আর স্বাধীনতার পর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছিলাম। মন্ত্রী হওয়ার তিনদিনের মাথায় গ্রামে গিয়ে দেখি, সেখানে কৃষকরা ডিজিটাল সেন্টারে ঘোরাঘুরি করছেন। তারা বলেছিলেন, মাঠে গেলে কখন কোন ফসলে কী সার, কেমন বীজ ইত্যাদি লাগবে তার তথ্য পাওয়া যায়।

এখন প্রযুক্তি এতো শক্তিশালী হয়েছে যে, কম্পিউটারের কাছাকাছি চলে এসেছে মোবাইল। সেদিক থেকে অনেক এগিয়েছি আমরা।

তিনি বলেন, এ মাটির শক্তি আমরা বুঝি না। কিন্তু আমরাই যুদ্ধ করেই দেশ স্বাধীন করেছি। আমাদের অনেক সম্পদ আছে। এটাকে নার্সিং করতে পারলেই আমরা অনেক এগিয়ে যাবো।

ডিজিটাল বাংলাদেশ আগে বললে লোকে হাসতো। এখন আর হাসে না। এটা জীবনের পার্ট হয়ে গেছে। তবে মডার্ন মানুষ হিসেবে যদি প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খেতে না পারি, তবে খুব কঠিন হবে।

প্রযুক্তির সঙ্গে জ্ঞানটাকেও এগিয়ে নিতে হবে। পৃথিবীর সঙ্গে সিনক্রোনাইজ করলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। এজন্য প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। প্রত্যেকটা মানুষকেই প্রযুক্তির সংস্পর্শে আনতে হবে। অন্যথায় উন্নয়ন সম্ভন নয়। এগোনো সম্ভব নয়।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রযুক্তি পণ্য কেবল ব্যবসার অংশ নয়, এটা উন্নয়নের হাতিয়ার। যারা এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা মহৎ কাজ করছেন। এটাকে আরো এগিয়ে নিতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রযুক্তিবিদ মনির হোসেন বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার যতো বেশি হয়, কাজের সময় ততো বাড়ে, কমে আসে নষ্ট সময়। প্রতি মুহূর্তেই সেবা খোলা রাখা যায়।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট সবাইকে সমান করে ফেলে। এতে কাজ পারলেই কেবল আপনি টিকবেন। এজন্য ডিভাইসকে কাছে নিয়ে যেতে পারলে খুব ভালো হয়। তবে এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। মাসে ৫০ হাজারের মতো ল্যাপটপ বিক্রি হয়। ছেলেমেয়েদের হাতে শক্তিশালী ডিভাইস দিতে পারলে আমাদের কেউ দমাতে পারবে না।

এক্সপো মেকার আয়োজিত মেলার উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আসুসের প্রতিনিধি মো. আল ফুয়াদ, ডেল’র কান্ট্রি ডিরেক্টর আতিকুর রহমান, এইচপি'র রিটেইল অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার সালাউদ্দিন মো. আদিল, এসআর’র সেলস কনসালট্যান্ট সাকিব হাসান প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী মেলার স্টল ঘুরে দেখেন। মেলায় মোট ৫৪টি স্টল রয়েছে। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলার বিকিকিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৬
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।