ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আপত্তিকর বক্তব্য বন্ধে মাইক্রোসফটের নতুন টুলস

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬
আপত্তিকর বক্তব্য বন্ধে মাইক্রোসফটের নতুন টুলস

মাইক্রোসফট তাদের হোস্টেড কনজ্যুমার সেবায় নতুন টুলস যোগ করেছে। তাই আপত্তিকর বা ঘৃণিত বক্তব্যের বিরুদ্ধে এখন থেকে ব্যবহারকারীরা মাইক্রোসফটকে সরাসরি রিপোর্টের মাধ্যমে অবহিত করতে পারবেন।

নতুন এই ওয়েব ফর্মের মাধ্যমে রিপোর্ট করার পদক্ষেপটি সরাসরিভাবে ঘৃণিত সেই সমস্ত বক্তব্যের সুত্র খুঁজে বের করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নেতিবাচক বক্তব্য প্রতিরোধ করার পাশাপাশি এটি অনলাইন কমিউনিটিগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করার একটি প্রচেষ্টা। এসব সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফার্মকে সরাসরি রিপোর্ট করা ছাড়াও অনলাইন ফর্মের দ্বারা বিষয়বস্তু পুনর্বহালের জন্য অনুরোধের আবেদন  করতে পারবেন। কারণ ওয়েব ফর্ম ছাড়াও পুনর্বিবেচনা এবং পুর্নবহাল রাখার জন্য পৃথক আবেদন ফরম যুক্ত রয়েছে এতে।

ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফটের অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান জ্যাকুলিন বিউচার জানান,  হোস্টেড কনজিউমার সেবায় নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু অপসারণে আমাদের "নোটিস এবং টেকডাউন”  পদক্ষেপ চালু থাকবে এবং আমাদের পর্যবেক্ষণকে গতিসম্পন্ন  এবং এর মানোন্নয়নে কার্যক্রমটি যুগোপযুগী হবে।

ঘৃণাত্মক বক্তব্য সম্পর্কে আমাদের কাছে রিপোর্ট করা হলে, প্রতিটি অভিযোগকেই মূল্যায়ন করবো। এছাড়া ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট  ও বিষয়বস্তুর প্রতি সন্মান রেখে  সার্বিক দিক বিবেচনায় এনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবো।

আউটলুক, এক্সবক্স, স্কাইপ , ওয়ানড্রাইভ , অফিস ৩৬৫ এর মতো অতি জনপ্রিয় সেবাগুলো মাইক্রোসফটের যা লাখ লাখ ব্যবহারকারীদের বিমুগ্ধ করেছে।

ব্লগে জ্যাকুলিন আরো বলেন, ব্যাবহারকারীদের কাছে এটা আমরা বেশ সহজভাবে উপস্থাপন করেছি। যাতে তারা ভুল সংশোধন করতে পারে এজন্য পুনর্বহাল ও পুনর্বিবেচনা মূলক ফর্মের মত বহুমুখী সেবাযুক্ত করেছি।

অনলাইনে আপত্তিকর কনটেন্ট বিতর্ক বন্ধে বৃহত্তর ইন্টারনেট কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করছে মাইক্রোসফট। এছাড়া সরকার, অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক  আইনজীবী সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথেও কাজ করছে। যাতে হোস্টেড কনজ্যুমার সেবায় অবৈধ বক্তব্য এবং নোংড়া উক্তি ব্যবহারের কোনো যায়গা নেই বলে নিশ্চিত করা যায়।

সফটওয়্যার জায়ান্টের প্রত্যাশা, অনলাইনে আক্রমণাত্মক ও নেতিবাচক সব  বিষয় সরাসরি চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে  স্বচ্ছতা আনতে ও প্রতিরোধে এই প্রচেষ্টা বেশ কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৬

এমএএ/এমএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।