ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘এডুকেশন গসিপ’

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘এডুকেশন গসিপ’ ছবি: ‘এডুকেশন গসিপ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শহর-গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে ‘এডুকেশন গসিপ’ নামে একটি প্লাটফর্ম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শহর-গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে ‘এডুকেশন গসিপ’ নামে একটি প্লাটফর্ম উদ্বোধন করা হয়েছে।

একদল তরুণের তৈরি এই প্লাটফর্মটি মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে (সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক) উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

‘এডুকেশন গসিপ’ নামের প্লাটফর্মের আওতায় রয়েছে একটি অ্যাপস, একটি ওয়েবসাইট ও একটি অ্যাটেনডেন্ট মেশিন। এর মাধ্যমে সারাদেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।

অনুষ্ঠানে তানভীর তাবাসসুম জানান, এডুকেশন গসিপ কোনো প্রথাগত পদ্ধতি নয়। এটি শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার আধুনিক পদ্ধতি। এর মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় গমন নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীর তথ্য সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরি, ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।

এছাড়া ঝরে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নির্ণয় ও বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ, সোস্যাল নেটওয়ার্কিংসহ অ্যাপস ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সব উপকরণ (সিলেবাস, রুটিন, ই-বুক, বেতন পরিশোধ, শিক্ষার্থীর অগ্রগতি নিরূপণ করা যাবে) নিশ্চিত করবে।

অভি আরো জানান, ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের চাহিদাগুলো যেমন অ্যাসাইনমেন্ট জমা, টিউশন ফি, ব্যক্তিগত রুটিন নিয়ন্ত্রণ, পরীক্ষার্থীর নিবন্ধন ও মূল্যায়ন উপস্থিতির পরিসংখ্যান ও ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে দিক-নির্দেশনা প্রদান করবে।

একইসঙ্গে সিস্টেমটি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি সফটওয়্যার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।

‘এডুকেশন গসিপ’ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার মানের তারতম্য দূর করতে সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস উদ্যোক্তাদের।

প্লাটফর্মটি তৈরিতে অভির নেতৃত্বে কাজ করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন, আহমেদ তারেক ও মো. রমজান নামে তিনজন জার্মান প্রবাসী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হোসনে আরা বেগম, এনডিসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।