ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ব্যক্তিতথ্য রক্ষার আহবান

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১১

উন্নয়ন গবেষণা সংগঠন ভয়েসের উদ্যোগে সিবিসিবি মিলনায়তনে ‘ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার অধিকার, নিরাপত্তা ও জনস্বার্থ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. সলিমুল্লাহ খান, সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের নির্বাহী পরিচালক উমা চৌধুরী, বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক খায়রুজ্জামান কামাল, ব্র্যাকের মাকসুদা সুলতানা এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ফাহমিদা জামান।



আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, মোবাইল ফোন ও যোগাযোগ নজরদারির কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিটিআরসি যদিও স্বাধীন কমিশন কিন্তু আইন করার ক্ষেত্রে তারা স্বাধীন নয়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহলের চাপে ও স্বার্থে আইন ও নীতি প্রণয়ন করে।

এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট করার সময় বা মোবাইল ফোনের নিবন্ধনের সময় অপ্রয়োজনীয় অনেক তথ্য নেওয়া হয়, যা অনেক সময় মানুষের সংস্কৃতি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সীমালঙ্ঘন করে। এইসব তথ্য আবার অনেক সময় বিক্রিও করা হয়।

অন্যদিকে সম্প্রতি ইনটারনেটে বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে ব্যক্তির, বিশেষ করে নারীর প্রতি যৌন নিপীড়ন করা হচ্ছে এবং সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে। এ কর্মশালায় ব্যক্তির তথ্য গোপনীয়তার অধিকার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ণসহ আলাদা কমিশন গঠনের জোর দাবি জানানো হয়।

ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, জনগণের তথ্য সংরক্ষণ করা সরকারের দায়িত্ব এবং সরকার কখন, কি উদ্দেশ্যে ও কিভাবে এসব তথ্য ব্যবহার করছে তা জনগণের সামনে স্বচ্ছ থাকা দরকার। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের তথ্য আইন এবং ব্যক্তি গোপনীয়তা ও মানবাধিকারের অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, কায়েমী রাষ্ট্র সমূহ তাদের নানা কর্মকান্ডের সুবিধার্থে নিরাপত্তার অজুহাত তুলে মোবাইল ফোন বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসমূহে নজরদারি করে ব্যক্তির গোপন তথ্যের উপর অবৈধ হস্তক্ষেপ করে যা মানবাধিকার পরিপন্থি।

এ সময় তিনি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে তথ্য আইনের সংশোধনী নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যাক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার বিভিন্ন দিক ও প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক খায়রুজ্জামান কামাল বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের অধিকাংশ আইন সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন আমাদের তথ্য অধিকার আইন আছে। কিন্তু ব্যতিক্রমের দ্বারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় তথ্য প্রকাশ না করার বিধান রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে ব্যক্তির অধিকারকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। এটি মানবাধিকার পরিপন্থি।

সুপ্রর পরিচালক উমা চৌধুরী তথ্য নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার আছে। তাই আমার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা প্রদানের ব্যবস্থাও থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সময় ২১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।