ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শুধু কাজ করতেই নয়, চাই অনুকরণীয় হতে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
শুধু কাজ করতেই নয়, চাই অনুকরণীয় হতে’ ন্যাশনাল হ্যাকাথন ফর উইমেন-২০১৭ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৪ প্রতিযোগী

ঢাকা:  তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ, তবে আমরা চাই আন্তর্জাতিক পরিসরেও দেশীয় প্রযুক্তিকে আরও প্রসারিত করতে। আমরা তথ্য প্রযুক্তি খাতে শুধু কাজ করতে চাই না, চাই সবার অনুকরণীয় হতে।

এভাবেই বাংলানিউজকে কথাগুলো বলছিলেন  ‘ন্যাশনাল হ্যাকাথন ফর উইমেন-২০১৭’  অংশগ্রহণ  করতে  আসা  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী তানজিলা সরকার, ফারহানা কবির, নাফিস নোয়ার ও ফামিদা জামান কেয়া।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শুরু হওয়া ৩৬ ঘণ্টার প্রতিযোগিতা শেষ হবে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি)।

আসরটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে আইসিটি মন্ত্রণালয় ও ‘উইমেন ইন ডিজিটাল বাংলাদেশ’। আসরটিতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫শ’ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।
 
তানজিলা সরকার, ফারহানা কবির, নাফিস নোয়ার ও ফামিদা জামান কেয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতার সম্পর্কে জানতে পেরেই বৃহস্পতিবার ঢাকা এসেছেন (০৯ ফেব্রুয়ারি) অংশগ্রহণ করতে।
 
তারা চারজন বান্ধবী। থাকেনও বিশ্ববিদ্যালয়ের একই হোস্টেলে। কিশোরী বয়স থেকেই তাদের স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়ে নিয়ে পড়াশুনা করবেন। এ খাতে তারা এমন কিছু করতে চান, যাতে দেশের সব নারীদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারেন।
 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা এই গ্রুপটির দলনেতা নাফিস নোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, দেশ তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে গেলেও এই খাতে নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রযুক্তি খাতে নারীদের অন্তত ১৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব আছে, সেখানে আমাদের দেশে নারীদের অংশীদারিত্ব  মাত্র ৯ শতাংশ।

আমরা চাই নারীরা এই খাতে আরও এগিয়ে আসুক।   সে জন্যই আমরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। আমরা চাই আমাদের দেখে অন্যান্য মেয়েরাও তথ্য প্রযুক্তি খাতে কাজ করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করুক।

গ্রুপটির সদস্য তানজিলা সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমি একজন গেইম ডেভেলপার হতে চাই।   শুধু কাজ করতে চাই না, আমি চাই বাংলাদেশে গেইম ডেভেলাপিং খাতে একজন উদ্যোক্তা হতে। আর এই ইচ্ছা থেকেই ‘ন্যাশনাল হ্যাকাথন ফর উইমেন-২০১৭’  তে এসেছি। এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। সবাই আমরা নতুন কিছু শিখেছি এবং শেয়ার করছি। এখানে আমরা যা কিছু শিখেছি তা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সবার সঙ্গে শেয়ার করব।
গ্রুপের অপর দুই সদস্য ফারহানা কবির ও ফামিদা জামান কেয়া হতে চান ওয়েব ডেভেলপার আর তথ্য প্রযুক্তি খাতে সফল উদ্যোক্তা।  

ফারহানা কবির ও ফামিদা জামান কেয়া বাংলানিজকে বলেন,  ‘ন্যাশনাল হ্যাকাথন ফর উইমেন-২০১৭’ এর আয়োজকদের ধন্যবাদ জানায় এমন একটি আয়োজন করার জন্য। এখানে পোগ্রামিং, ওয়েভ ডিজাইনিং এবং কোডিংয়ের অনেক কিছু শিখছি আমরা। এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের আরও সাহসী এবং অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলবে। আমরা শুধু নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই না আমরা চাই আমদের দেখে আরও বেশি সংখ্যায় তথ্য প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে আসুক।

শুক্রবার সকাল ১০টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ন্যাশনাল হ্যাকাথন ফর উইমেন-২০১৭’ প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তিনে বলেন, আইসিটি ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোক্তাদের তাদের আইডিয়ার ওপর ভিত্তি করে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত  অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের আসিটির নতুন উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ইনোভেটিব আইডিয়া নেওয়া হবে। এই ১ হাজার আইডিয়ার মধ্যে সব থেকে ভালো আইডিয়ার উদ্যোক্তাদের তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ১ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫শ’ নারী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। ৯ ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের জন্য মোট ২৭টি পুরস্কার থাকছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০১ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
এমএ/আরএম/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।