ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ঝুঁকি চিহ্নিত করে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
ঝুঁকি চিহ্নিত করে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম

ঢাকা: প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে অডিটের ভিত্তিতে ঝুঁকি চিহ্নিত করে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
 
 

সাইবার নিরাপত্তার কাজে সমন্বয়হীনতা রয়েছে স্বীকার করে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি আইনের মাধ্যমে তা সমন্বয় হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
 
বুধবার (১৭ মে) বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে কার ৠালি ও রোড শো উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।


 
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাইবার হামলার প্রেক্ষাপটে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যত দ্রুত এগিয়েছি, সমানতালে সাইবার সিকিউরিটি নিয়েও এগিয়েছি।
 
তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটির বিষয়টি বিগত দু’বছর ধরে হয়তো জোর দেওয়া হচ্ছে এবং আইন প্রণয়নের অপেক্ষায় আছে। আইন প্রণয়ন হলে সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি হবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে থাকবে সেই এজেন্সি।
 
সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সমন্বয়হীনতার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন বিক্ষিপ্তভাবে বিটিআরসি, এনটিএমসি এবং নতুন করে আইসিটি বিভাগও কাজ করছে। ওই এজেন্সি যখন স্থাপিত হবে তখন সমন্বয়হীনতার কাজগুলো সমন্বয় হবে এবং কাজের বিভাজনও হবে।
 
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গত দু’বছর ধরে সাইবার সিকিউরিটিকেও সমানতালে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে, সমন্বয়হীনতা আছে। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাস হলে সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি হবে, তখন অসমন্বিত প্রচেষ্টাগুলো সমন্বয় হবে।
 
‘সাইবার হামলা থেকে আসলে শতভাগ নিরাপত্তা কোনো দেশই কখনও নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা মেক্সিমাম কতটুকু নিশ্চিত করতে পারবো এবং এর প্রতিকার করতে পারবো বা তৈরি থাকবো- এ বিষয় নিয়ে জরুরি সভা ডেকেছিলাম। ’
 
সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য এরইমধ্যে বিসিসি, এটিএমসি, বিটিআরসি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের কিছু পরামর্শ আছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী শিগগিরই বিভিন্ন সংবাদ যাবে এবং কী কী করতে পারেন সেজন্য বিজ্ঞাপন যাবে।
 
অডিটের জন্য বিসিসির অডিট টিমকে ব্যবহার করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
 
বিভিন্ন সংস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর রিকমন্ডেশনের কথা তুলে ধরে তারানা হালিম বলেন, প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের অডিট হওয়া প্রয়োজন এবং অডিট অনুসারে ভালনারেবিলিটির জায়গাগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন এবং তারা কতটা অ্যাড্রেস করলেন সেটিও জানানো প্রয়োজন।
 
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কী কী করণীয় সে বিষয়ে চিঠি দেওয়া হবে। কিন্তু স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা সে অনুসারে অডিট করে এবং অডিটে যে ভালনারেবিলিটি পাওয়া যাবে সে বিষয়ের ওপর দৃষ্টি দিয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকেই করতে (নিরাপত্তা নিশ্চিত) হবে।
 
‘আমরা যেটা চেষ্টা করছি একটি অডিট টিম বিসিসির আছে, আমরা এর আইনগত ভিত্তি তৈরি করতে চাইছি। অডিট টিমকে ব্যবহার করে তারা যেন দেখতে পারে কী কী সমস্যা আছে এবং সমাধানের চেষ্টা করে। ’
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়গুলো করণীয় সম্পর্কে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠাবো, দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে, তবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা সেই দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
 
সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সক্ষমতা কতটুকু? প্রশ্নে তারানা হালিম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যত দ্রুত এগিয়েছে, সমানতালে সাইবার সিকিউরিটির বিষয়টি শুরু থেকে ততটা গুরুত্বারোপ করা হয়নি। এর মূল কারণ হচ্ছে, তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণকেই অগ্রাধিকার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান, রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য অপারেটর ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।