অং সান সু চি। মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী এ নেত্রী এখন টুইটার আর ফেসবুক নিয়েই ব্যস্ত রাজনৈতিক সময় কাটাচ্ছেন।
সু চি এখন প্রজন্মের সামাজিক বিপ্লবেই দিকেই এগোচ্ছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
মিয়ানমারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বছরের পর বছর গৃহবন্দি থেকেছেন নোবেলজয়ী এ জননেত্রী।
তবে গৃহবন্দি অবস্থায় সু চি ইন্টারনেটে ব্যবহারের সুযোগ পেলে আজকের মিয়ানমারের রাজনৈতিক দৃশ্যপটই বদলেই যেত। এখন টুইটার-ফেসবুক ব্যবহার করে পুরো রাজনৈতিক ভাবনাই বদলে ফেলেছেন সু চি।
গত নভেম্বরে গৃহমুক্তির কিছুদির পর থেকেই সু চি ইন্টারনেট এবং টেলিফোন ব্যবহারের সুযোগ পান।
তবে এরই মধ্যে সু চিকে আবারও ইন্টারনেট এবং টেলিফোনে রাজনৈতিক আলাপচারিতা এবং মতামত বিনিময়ে সতর্ক করেছেন দেশটির ক্ষমতাশীন সরকার।
সু চি জানান, এখনও খুব বেশি বাইরে যাওয়া হয় না। অনেকটা গৃহবন্দির মতোই সময় কাটছে। তবে রাজনৈতিক মাঠজুড়ে আছে টুইটার আর ফেসবুকে অবাধ তথ্য রাজনীতির আবহ। এটা অনেক শক্তিশালী। তাৎক্ষণিক মতামতে আছে টুইটার। ১৪০ শব্দের খুদেবার্তা মাধ্যম হলেও এর শক্তি অনেক বেশি। বিশ্বব্যাপী দ্রুত জনমত যাচাই করতে এটি এ মুহূর্তের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সংক্ষিপ্ত গণমাধ্যম।
অন্যদিকে সুনিদিষ্ট সামাজিক মাধ্যমে তথ্য বিকাশে আছে ফেসবুকের সুবিশাল পরিমন্ডল। সম্প্রতি তিউনিশিয়া এবং ইজিপটের গণতন্ত্রমুখী আন্দোলনে টুইটার-ফেসুবকের শক্তি পরীক্ষার প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে।
এ অর্থে গণতন্ত্রের চর্চায় টুইটার এবং ফেসবুকের শক্তিকে অনেক দেশের সরকারই আমলে নিয়েছে। মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও এর বিপরীত কিছু ঘটেনি। এ মুহূর্তে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সমর্থিত সরকার অং সান সু চির টুইটার-ফেসবুক ব্যবহারে অবৈধভাবে নজরদারি করছে।
এ পরিস্থিতি গণতন্ত্রকামী নেত্রী সু চিকে আবারও ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ সুবিধা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন। তথ্য অধিকারের এ সময়ে সামরিক জান্তা সরকারের এ অগণতান্ত্রিক চর্চা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।
বাংলাদেশ সময় ২১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১১