এবারে টুইটারের সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছে ফেসবুক। অচিরেই ফেসবুক সদস্যরা তাদের ব্যক্তিগত প্রোফাইল সরাসরি টুইটারে বিনিময় করতে পারবেন।
ভবিষ্যতে ডকুমেন্ট ফাইল এবং বিবিধ তথ্য বিনিময়ে টুইটার আর ফেসবুকের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। সামাজিক অর্থে ব্র্যান্ডমূল্য, ব্যাপক পরিচিতি এবং অনলাইন ব্যবসায় টুইটার এবং ফেসবুকের এ যৌথ উদ্যোগ আরও বেশি গ্রাহককে প্রযুক্তিবান্ধব করে তুলবে।
এ উদ্যোগ সম্পর্কে ফেসবুক সূত্র জানিয়েছে, টুইটার টু ফেসবুক এ ফিচার লিঙ্ক অচিরেই ব্যবহারের জন্য অবমুক্ত করা হবে। তবে কবে নাগাদ এ সেবা ব্যবহারযোগ্য হবে-এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনই বলা সম্ভব নয়।
এ মুহূর্তে সরাসরি তথ্য বিনিময়ে ফেসবুকের ‘সাবস্ক্রিপশন’ এবং টুইটারের ‘ফলোয়ার’ ফিচার কাজ করছে। অচিরেই এ সেবা দুটি একসঙ্গে উপভোগ্য হবে। এর ফলে ফেসবুকের পৃষ্ঠা এবং প্রোফাইল সরাসরি টুইটারে উপভোগ করা যাবে।
এ সুবিধা ফেসবুকের ৬০ কোটি ভক্ত কোনো ধরনের জটিল প্রক্রিয়া ছাড়াই উপভোগ করতে পারবেন। কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ফেসবুকের ‘এফ৮ ডেভেলপার’ সম্মেলনে এ সেবার আনুষ্ঠানিক উন্মোচন হতে পারে।
এ উদ্যোগের পেছনে অবশ্য টুইটারই আগে হাত বাড়িয়েছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে টুইটার তাদের ‘টুইট’ সরাসরি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রেরণের পথ সুগম করেছে। এর আগে ‘অ্যাড অনস’ লিঙ্গের মাধ্যমে ফেসুবক এবং টুইটার ভক্তরা তাদের তথ্য বিনিময় করতো।
বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, এ সবকিছুর পেছনেই আছে ‘গুগল+’ এর বাড়তি চাপ। সামাজিক নেটওয়ার্ক ভুবনে গুগল+ দ্রুতই তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য গুগল+ কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
সামাজিক নেটওয়ার্কের ভুবনের এ প্রতিদ্বন্দ্বীতা তাই টানাটান হয়ে উঠছে। আর ভোক্তাদের কপালে জুঁটছে মানোন্নত সব সামাজিক সেবামাধ্যম আর কৌশলতত্ত্ব।
বাংলাদেশ সময় ২৩২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১