যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। সঙ্গে আছে বেকারত্বের কঠিন চ্যালেঞ্জ।
যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ বেকারত্বে ফেসবুক এনে দিয়েছে সম্ভাবনার সুখবার্তা। ফেসবুক একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে রাজস্বের যোগান দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে তৈরি করছে কর্মসংস্থানের অবারিত সুযোগ।
ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড গবেষণা সূত্র জানিয়েছে, এ মুহূর্তে ফেবসবুক ‘অ্যাপ’ (অ্যাপলিকেশন) অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখছে।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মন্দা অর্থনীতি কাটিয়ে উঠতে ফেসবুক ১ লাখ ৮২ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আর এ বছরের বেতনের খাতায় তুলেছে ১২০ কোটি ১৯ লাখ ডলারের অবদান। এতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তি খানিকটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক গবেষণা সূত্র জানিয়েছে, শুধু এ বছরেই ফেসবুক ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৪৪টি পদে কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ২০১১ সালের অর্থনীতিতে যুক্ত করেছে ১৫০ কোটি ৭১ লাখ ডলারের রাজস্ব আয়।
অ্যাপলিকেশন শিল্পের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হওয়ায় এ বাজার তৈরি হয়েছে বলে বাজারবিশ্লেষকেরা মন্তব্য করেছেন। সরাসরি অফিস নিয়োগ নয়, বরং ইকোসিস্টেম জব (পরোক্ষ চাকরি) তৈরির কারণেই ফেসবুক এ বিপুল অঙ্কের আর্থিক সাফল্য অর্জন করেছে।
এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্দা অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনে ফেসবুকের বিপণন কৌশলকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বারাক ওবামার তড়িৎ প্রসাশন ব্যবস্থা। কর্মসংস্থান, বেতন এবং সাফল্য সব কিছুতেই এগিয়ে ফেসবুক।
এ মুহূর্তে পরোক্ষভাবে ২৫ লাখ ওয়েবসাইটে ফেসবুকের লিঙ্ক আছে। প্রতিদিন অন্তত ২ কোটি অ্যাপলিকেশন ডাউনলোড করে ফেসবুক ভক্তরা। এ ছাড়াও প্রতিমাসে পরোক্ষ সাইট থেকে ২৫ কোটি অনলাইন গ্রাহক ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
এর মধ্যে গেমিং অ্যাপলিকেশনের সংখ্যা ও জনপ্রিয়তা আছে শীর্ষে। আর ‘লাইক’ বাটন প্রচলনের পর অনলাইন ব্যবসায় একেবারেই অবিচ্ছেদ্য ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে ফেসবুক।
অনলাইনে সংস্কৃতিতে এখন ৭০ কোটি প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভক্ত নিয়ে ফেসবুক তৈরি করেছে সাফল্যের মাইলফলক। সামাজিক সেবার সঙ্গে অর্থনীতির মিশ্রণে ফেসবুক তাই শীর্ষ ব্র্যান্ডের তালিকায় পৌঁছে গেছে।
বাংলাদেশ সময় ১৯০৩ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১