পুরো বিশ্বই এখন ফেসবুক জ্বরে আক্রান্ত। এ সামাজিক যোগাযোগের ভালো দিক অনেক।
এরই মধ্যে ফেসবুকের স্পর্শকাতর বার্তার কারণে আকালে ঝড়ে গেছে অনেক মেধাবী মুখ। মালিনি মারমু তার সর্বশেষ উদাহরণ। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের জামশেদপুর ঝাড়খন্ডের টগবগে মেয়ে মালিনি মারমু। বয়স ২৩। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের (আইআইএম) এসেছিলেন উচ্চতর শিক্ষা নিতে। বি. টেক বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে কাজ করছিলেন স্বনামধন্য ইনফোসিস প্রতিষ্ঠানে।
সামনের সময়ে আরও সম্ভাবনাময় কিছু করার প্রত্যয়েই তিনি এসেছিলেন আইআইএমে। কিন্তু বিফলে গেল সে প্রত্যাশা। স্বপ্ন হলো ভঙ্গ। অকালেই অভিমানে চলে গেলেন এ মেধাবী তরুণী। বেছে নিলেন আত্মহত্যার নির্মম পথ। এর পেছনে ফেসবুক আসক্তিকেই দায়ী করছেন মালিনির পরিচিতরা।
আত্মহত্যার আগে মালিনির ফেসবুকে বন্ধুর সংখ্যা ছিল ৭২৭ জন। আইআইটিতে পড়তে এসে হঠাৎ করেই ভালোবেসে ফেলেন সহপাঠী অভিশেখকে। দু’জনের সখ্যতা থাকার পরও হঠাৎই কোনো অজ্ঞাত কারণে ফেসবুকে স্ট্যাটাসে অভিশেখ লেখেন, তিনি আর মালিনিকে ভালোবাসেন না। তাই অভিশেখ তাকে প্রত্যাখ্যান করেন।
এ ফেসবুকবার্তা পড়ে মালিনি অভিমানে মুষড়ে পড়েন। সিদ্ধান্ত নেন আত্মহত্যার। মৃত্যুর আগে মালিনিও তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, আমার ভালোবাসার মানুষ আমার সঙ্গ ত্যাগ করেছে। তাই আত্মহত্যাই আমার কাছে শ্রেয়।
এ বার্তা ভারতে ফেসবুক ভক্তদের দারুণভাবে মর্মাহত করেছে। শুধু ভারত কেন, পুরো ফেসবুক বিশ্বের কোটি কোটি ভক্ত এ ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছে। এমনটি যেন আরও কেউ না করে সেজন্য ফেসবুকে আবেদনও জানানো হচ্ছে।
এ ঘটনায় আইআইএম সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনা সত্যিই মর্মান্তিক। এর ফলে মালিনির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তবে এ আত্মহত্যার পেছনে আরও কোনো কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ। এ তদন্তেও মালিকিন ফেসবুক স্ট্যাটাসকে আমলে নেবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময় ১৬৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১১