ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলমান ‘১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৭’-এর জিয়াংসু ন্যাচারাল টেক্সটেক কোম্পানি লি.-এর স্টলে দেখা গেছে এই অর্গানিক সুতা।
কোম্পানিটির সহ-ব্যবস্থাপক লুৎফর রহমান বাংলানিজকে জানান, বাংলাদেশে এই সুতা উৎপাদন করা সম্ভব না।
এছাড়া মোডাল ইয়ার্নও খুব উন্নতমানের। এগুলো দিয়ে ব্যাপক আরামদায়ক কাপড় প্রস্তুত করা সম্ভব হয়। আর এই সুতা ভারতও চেষ্টা করেছিল প্রস্তুত করতে কিন্তু সফলতা চীনই পেয়েছে।
প্রদর্শনীটির চ্যাংঝৌ জিংফা জিংইয়ে ওয়েভ অ্যান্ড ডাইং কো. লি.-এর স্টলে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন ধরনের জিন্সের কাপড়। যা এই অর্গানিক কটন ও আরও অন্য সুতার মিশ্রণে তৈরি হয়েছে এবং ব্যাপক নরম জিন্সের কাপড়।
কোম্পানিটির সেলস ম্যানেজার লি জু বাংলানিউজকে বলেন, শতকরা ৫৪ ভাগ কটন, শতকরা ১৮ ভাগ লিনেন, পলিস্টার ৫ ভাগ ও ভিসকোস ২ ভাগ দিয়ে এই কাপড়টা প্রস্তুত করা হয়েছে। এটা প্রচণ্ড আরামদায়ক কিন্তু মোটা কাপড়। আবার বাজারে এর দাম তুলনামূলক কম, কেননা খরচ কমাতেই আমরা অন্যান্য সুতার মিশ্রণ ঘটিয়েছি।
এছাড়া উন্নতমানের এই সুতার মাধ্যমে নরম ও আরামদায়ক মোজার অটোমেটিক মেশিনও কোরিয়ান টেক্সটাইল মেশিনারিজের স্টলে দেখা গেছে। যে মেশিনে ঘণ্টায় প্রায় ৩৩০-৩৫০টি মোজা বানাতে সক্ষম।
কোম্পানীটির মার্কেটিং ম্যানেজার সাও হান বলেন, এটা অটোমেটিক মেশিন ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। এতে প্রায় দুই হাজার ডিজাইন ইনপুট করা যায়। এর দাম ১৫ হাজার ডলার। এটার দাম কিস্তির মাধ্যমেও দেয়া সম্ভব। এছাড়া আমরা ফ্রি সার্ভিসিংও দিয়ে থাকি। আর যে কোনো সুতাই এখানে ব্যবহার করা যায়। তবে আমরা এখন নরম মোজা তৈরির জন্য একটা বিশেষ চাইনিজ সুতা ব্যবহার করছি।
বাংলাদেশ সময় : ২১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এমএএম/এসএইচ