ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অবশেষে চালু হচ্ছে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭
অবশেষে চালু হচ্ছে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন- ফাইল ছবি

ঢাকা: কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তনের পর অবশেষে আগামী রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) চালু হচ্ছে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। 

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুয়াকাটায় অবস্থিত এ সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ ‍হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ আরো ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পাচ্ছে। আর ট্রান্সমিশন চার্জ কম পড়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা ও ফরিদপুরের মানুষ কম খরচে ইন্টারনেট সেবা পাবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে ১২০ জিবিপিএস রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) মাধ্যমে আসে। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইডথ ভারত থেকে আমদানি করা হয়।

চাহিদার অতিরিক্ত মালয়েশিয়া, ভুটান, মায়ানমার, শ্রীলংকা, ভারতের সেভেন সিস্টার ও আসাম ব্যান্ডউইডথ নিতে চায় বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

বেশ কিছুদিন আগে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটার মাইটভাঙা আমখোলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন শেষে তারানা হালিম বলেন, দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে আসা অতিরিক্ত ব্যান্ডউইডথ আমরা রফতানি করতে পারবো।

ঢাকা পর্যন্ত ব্যান্ডউইডথ ট্রান্সমিশন লিংক স্থাপন করা হয়েছে এবং সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মেয়াদ ২০ থেকে ২৫ বছর।

দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্ত হতে মোট ৬৬০ কোটি টাকা (সরকারের ১৬২ কোটি ও আইডিরি ঋণ ৩৫২ কোটি টাকা) প্রকল্পের খরচ ধরা হলেও ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে এ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের খরচ চার বছরের উঠে আসে। ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করতে পারলে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের ‍টাকাও উঠে আসবে কম সময়ে।  

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়ামের বৈঠকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ; কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাইটভাঙা আমখোলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশন। আর কুয়াকাটা পর্যটন মোটেল এলাকায় রয়েছে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের বিচ ম্যানহোল।

একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি-মি-ইউ-৫ সাবমেরিন ক্যাবলে দক্ষিণ-এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের ১৭ দেশ সংযুক্ত হচ্ছে।

দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হতে ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএমএ চুক্তি সই করে বিএসসিসিএল। এর পরিপ্রেক্ষিতে কনসোর্টিয়াম নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করে, যা সম্প্রতি সম্পন্ন হয়।

এর আগে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবল ‘সি-মি-ইউ-৪’ এ যুক্ত হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের মেয়াদ আর মাত্র ১০ বছর আছে।

সি-মি-উই-৪ ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন কেবল আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) সংযুক্ত রয়েছে, যারা ভারত থেকে ব্যান্ডউডথ আমদানি করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭
এমইউএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।