যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত ট্যাবলেট কমপিউটারের বাজার ৮০ ভাগ দখল করেছে অ্যাপলের আইপ্যাড। এমনই তথ্য প্রকাশ হয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্রেটিজি এনালাইটিকের প্রতিবেদনে।
চলতি বছরের মধ্যভাগ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকায় সাড়ে ৭০ লাখ ট্যাবলেট পিসি বাজারজাত হয়েছে। যার আথির্ক হিসাব মূল্য ৬০ লাখ। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিবরণী অনুযায়ী অ্যাপল এখন বাজারের মহাগুরু। একই সময়ে তারা আরো জানিয়েছে অ্যামাজনের পরিকল্পনা অচিরেই ট্যাবলেট পণ্য চালু করার। যেটি অ্যাপলের শক্ত প্রতিপক্ষ হয়েই লড়বে বলে মনে করছে গবেষকরা।
এছাড়া অ্যাপল আইপ্যাড বিশাল আকারের গ্রাহক সমর্থনে এটাই প্রমাণ করে এটা দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি পণ্য। স্ট্রেটিজি এনালাইটিক এর বয়োজ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ এলেক্স স্প্যাকটর বলেন, অ্যাপল দীর্ঘ সময়ব্যাপী তার প্রধান প্রতিপক্ষ মটোরোলা স্যামসাং, রিম, আসুস এবং এইচটিসিকে পিছিয়ে রেখে সম্মুখে রয়েছে।
অন্যদিকে অ্যাপলকে বাজারের সেরা বলার কারণ তার একাধিক সেবার স্থিতিশীল ব্্র্যান্ডিং’র সংযুক্ত সহজসাধ্য হার্ডওয়্যার, চিত্র বিনোদনমূলক এবং সাধারণ জ্ঞানের বিশদ তথ্য সরবরাহ ।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নেইল মোস্টনের মতে অ্যাপলের আধিপত্যে কাটাতে তার প্রধান প্রতিপক্ষ অনলাইনের খুচরা বিক্রেতা অ্যামাজন তার প্রথম ট্যাবলেট পণ্য প্রকাশের ঘোষণা দিবে অবিলম্বে ।
উল্লেখ্য,অ্যাপলের আইপ্যাডে অ্যাডব ফ্ল্যাস সফটওয়্যারের অসামঞ্জস্যতা সত্বেও এর লোকপ্রিয়তা ধরতে সক্ষম হয়েছে। কেননা এর দর্শকরা খুব বেশী অনলাইন ভিডিও দেখার সুযোগ মেলেনা। অন্যদিকে স্যামসাং অনেকটা তাড়াহুড়ো করেই ট্যাবলেট পণ্যে ফ্ল্যাস সিস্টেম যুক্ত করে প্রচারণা চালাচ্ছে। এ গবেষণার ইউএস ব্যাঙ্কের একজন এশিয়ান বিশেষজ্ঞ বলেন, কতিপেয় সরবরাহকারীরা ইঙ্গিত পেয়েছে যে অ্যাপল এ পণ্যে যোগানের ২৫ ভাগ কমিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের এপ্রিলে প্রথম প্রকাশ পায় আইপ্যাড আর দ্বিতীয় সংস্করণ আইপ্যাড২ চলতি বছরের মার্চে প্রকাশ কও অ্যাপল।
সময়: ১৫০০ ঘন্টা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১