ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটি র‌্যাঙ্কে বাংলাদেশ পিছিয়ে

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১১
আইসিটি র‌্যাঙ্কে বাংলাদেশ পিছিয়ে

বাংলাদেশ বিশ্বপ্রযুক্তিতে আবারও খানিকটা পিছিয়েছে। বিজনেস সফটওয়্যার অ্যালায়েন্স (বিএসএ) ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) আইটি ইন্ডাস্ট্রি কমপেটিটিভনেস ইনডেক্স২০১১ সংকলনে এ তথ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।



২০০৭ সালের পর চতুর্থবার ইন্ডেক্সটি হালনাগাদ করা হলো। এ ইনডেক্সটি তৈরিতে নির্বাচিত ৬৬টি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের বিভিন্ন নিয়ামক মাধ্যম বিবেচনায় নেওয়া হয়। এসব মানদণ্ডের মধ্যে আছে ব্যবসা পরিবেশ, আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ, গবেষণা ও উন্নয়ন, আইন, পরিবেশ এবং জনসমর্থন।

আইটি ইন্ডাস্ট্রি কমপেটিটিভনেস ইনডেক্সের ২০১১ সালের সংকলনটি বিএসএ সাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

এ ছাড়াও বিএসএ সাইটে র‌্যাংকিং টেবিল, সদস্য দেশগুলোর ওপর বিস্তারিত তথ্য, ইন্ডাস্ট্রি কেস স্টাডি এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ভিডিও ইন্টারভিউও পাওয়া যাবে। ২০১১ সালের র‌্যাংকিং এর শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন এবং যুক্তরাজ্য। এ মুহূর্তে এ তালিকায় বাংলাদেশ একধাপ নেমে ৬৩তম অবস্থানে আছে।

বিএসএ এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ নীতিনির্ধারণী পরিচালক রজার সমারভিল জানান, এ মুহূর্তে আইসিটি খাতে ব্যবসার পরিবেশ বিনিয়োগবান্ধব না যাওয়া বাংলাদেশ এ তালিকায় পিছিয়ে পড়েছে। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের দ্রুতই দিকনিদের্শনামূলক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

এবারের ইনডেক্স র‌্যাংকিং সূত্র মতে, যেসব দেশ বছরের পর বছর তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বিনিয়োগ করেছে মূলত তারাই এখন বিনিয়োগের সুফল ভোগ করছেন। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলো এগিয়ে আসার ফলে বিশ্ব প্রতিযোগিতা এখন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারণেই উন্নত দেশগুলোকে তাদের স্থান ধরে রাখতে কঠিন এবং কৌশলী লড়াই করতে হচ্ছে।

বিএসএ সভাপতি এবং সিইও রবার্ট হলিম্যান জানান, এ বছরের আইটি ইন্ডাস্ট্রি কমপেটিটিভনেস ইনডেক্সে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ সাফল্য আনে এ তত্ত্বটা সুস্পষ্ট হয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সামনে সুযোগ আছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করার। এ বিনিয়োগ সফল হবে তা বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান অবস্থায় সহজেই অনুমেয়।

এবারের বিএসএ শীর্ষ তালিকায় সবচে বেশি এগিয়েছে মালয়েশিয়া। উন্নয়ন ও গবেষণায় বড় বিনিয়োগের সুবাদে ২০০৯ সালের র‌্যাংকিং থেকে ১১ ধাপ এগিয়েছে দেশটি। এ ছাড়াও ভারত এগিয়েছে ১০ ধাপ। এবারের প্রকাশিতব্য তালিকায় সুদৃঢ় অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর, মেক্সিকো, অস্ট্রিয়া, জার্মানি এবং পোল্যান্ড।

রবার্ট হলিম্যানের মতে, বিশ্ব মন্দা অর্থনীতি কাটিয়ে উঠছে। তাই উন্নয়নশীল দেশভুক্ত সরকারগুলোর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একটি সুদীর্ঘ পরিকল্পনা নেওয়ার এটাই সুসময়। নীতিনির্ধারকেরা যদি এক বছরের পরিকল্পনা করেন তাহলে পিছিয়ে পড়বেন।

এ পরিকল্পনার দিকনির্দেশনামূলক মেয়াদ হতে হবে ন্যূনতম ৭ থেকে ৯ বছর মেয়াদি। আর সঙ্গে বিনিয়োগ প্রবাহও আগে থেকেই নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য (www.bsa.org/globalindex) এ সাইটে পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময় ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।