ঢাকা: নতুন ছয়টি আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কানেক্টিভিটি) লাইসেন্স প্রদান সাহসী পদক্ষেপ হলেও এর কিছু নীতিগত সংশোধন অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা মনে করছেন, এই লাইসেন্স প্রদানে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের মুনাফার পথ আরও সহজ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল এগারোরটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেণ, সাবমেরিন ক্যাবলের একটি সুষ্ঠু বিকল্প ব্যবস্থার অভাব দেশের আইসিটি শিল্পের বিকাশে অন্যতম প্রধান অন্তরায়। তাই ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্টেরিয়াল কানেটিভিটি বা আইটিসি সেবার সফল বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তারা বলেন, বর্তমানে দেশের আইটি সংক্রান্ত সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরণের সেবা প্রদান করছেন। কিন্তু যদি সেবা প্রদান এবং ট্রান্সমিশন বিষয় দুটিকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয় তাহলে ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য হবে। ফলে একদিকে ইন্টানেট সার্ভিসকে সহজ মনিটরিং করা যাবে, অন্যদিকে সরকারও সহজেই কর আদায় করতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট সেবা শুধুমাত্র রাজধানীকেন্দ্রিক। বর্তমানে ছয়টি লাইসেন্স প্রাপ্তরা যদি প্রতিটি বিভাগীয় শহরকে বেছে নেন তাহলে কম খরচে দেশের অন্যান্য জেলা শহরগুলোতে এ সেবা ছড়িয়ে দেয়া যায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইন্টারনেট পরিচিতি পদক্ষেপ ২০০৯ সালে শুরু হয়। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য হলেও এটি চলমান আছে। ইন্টারনেট এ ভালো ফ্রিকোয়েন্সি এবং ভালো স্পন্সর পাওয়া গেলেই এ কার্যক্রমটি পুনরায় চালু করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি আকতারুজ্জামান মনজু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম, কোষাধ্যক্ষ এমদাদুল হক, সুমন আহমেদ সাবির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১১