এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়টি এখর সরব। সিঙ্গাপুরের সাধারণ নির্বাচন আসন্ন।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের (আইপিএস) গবেষণা প্রতিবেদনে এমন সব তথ্যেরই খোঁজ মিলেছে। সিঙ্গাপুরের ২১ বছরের বেশি বয়সী এমন ২ হাজার ভোটারকে এ জরিপের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
ব্লগ এবং ফেসবুকে থেকেও এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে শতকরা মাত্র ৩০ ভাগ সচেতন ভোটার ইন্টারনেটভিত্তিক নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক জনমত প্রকাশে সামাজিক মিডিয়া একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম।
কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগে এশিয়ায় ইন্টারনেট এখনও অতটা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেনি। তাই রাজনৈতিক মেরুকরণে সামাজিক মিডিয়া এখন প্রিন্ট মিডিয়ার চেয়ে পিছিয়ে আছে। নির্বাচনে প্রিন্ট মিডিয়া অনেক বেশি পক্ষপাত দুষ্ট বলে জনমত পাওয়া গেছে।
কিন্তু অনলাইনে মিডিয়া নির্বাচনের সময় অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য এমন তথ্যেই আইপিএস পরিচালিত জরিপে উঠে এসেছে। এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়ার প্রভাবে ব্যাপক রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। প্রযুক্তিনির্ভর তরুণ প্রজন্ম এখন আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন।
ফলে এশিয়া ছাড়াও পুরো বিশ্বের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। সরকারগুলো এখন সামাজিক মিডিয়ার কারণে অনেক বেশি রাজনৈতিক সমালোচনার তোপে পড়ে। এতে ইন্টারনেটনির্ভর রাজনীতিতে নতুন সংস্কৃতি চর্চাও শুরু হয়েছে।
তবে জাতীয় নির্বাচনে এখনই ইন্টারনেট মাধ্যমকে সমর্থন করছেন না বেশিরভাগ সচেতন ভোটার। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় অনলাইন মিডিয়া অনেক বেশি সোচ্চার এবং বিশ্বাসযোগ্য বলে আইপিএস গবেষণা সূত্র মন্তব্য করেছে।
বাংলাদেশ সময় ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১১