বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশেও ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারস (আইইইই) দিবস-২০১১ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি এবং আইইইই কমিউনিকেশন সোসাইটি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে ‘নেক্সট জেনারেশন কমিউনিকেশন টেকনোলোজি অ্যান্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইইইই বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল হক। অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর অব বাংলাদেশের মহাসচিব আবু সাঈদ খান এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এ সময় বক্তারা জানান, এরই মধ্যে আইইইই কমিউনিকেশন সোসাইটি বাংলাদেশ আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘স্টুডেন্ট পেপার কনটেষ্ট২০১১’ আয়োজন করেছে। যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এই www.comsoc.org.bd সাইটে তাদের পেপার জমা দিতে পারবে।
সেমিনারে বক্তারা আরো বলেন, এ ধরনের সেমিনারের আয়োজনে এ মাধ্যমের সংশ্লিষ্টসহ শির্ক্ষাথীরা আরো উদ্বুদ্ধ হবে। ফলে অভিজ্ঞতা লাভে নিজেদেরকে দক্ষরুপে তৈরি করতে পারবে। ডিআইইউ’র ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহনে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে ছিলেন আইইইই চ্যাপ্টারের সভাপতি এস এম আলতাফ হোসেন।
উল্লেখ্য, ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আইইইই প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি কমিউনিকেশনের অগ্রগতি এবং সংশ্লিষ্টদের দক্ষরুপে গড়তে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে তারা। যোগাযোগের সবক্ষেত্রে বিশেষভাবে-বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি কার্যক্রমকে গতিশীল করতে আয়োজন করছে প্রকাশনা, সেমিনার, সম্মেলন, কারিগরি কমিটি ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের।
এছাড়া এর কারিগরি দক্ষতা ও পেশার সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণেও কাজ করছে তারা। ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশে সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৬০ টির বেশী দেশে আইইইই কার্যক্রম চালু আছে যার সদস্য সংখ্যা চার লাখের বেশি।