মার্কিন ব্যবসা প্রশাসনে বারাক ওবামা ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন। এটা অনেকের কাছেই হোঁচট খাওয়ার মতো তথ্য হতে পারে।
মানুষের ভবিষ্যৎ চাহিদাকে অনেক আগে থেকেই অনুমান করার দৈব ক্ষমতা ছিল স্টিভ জবসের। এটা উদ্ভাবক হিসেবে বহুবারই প্রমাণ করেছেন স্টিভ। একজন উদ্ভাবকের যতগুলো গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তাঁর প্রায় সবগুলোই ছিল স্টিভের আচরণে।
এর একটা অমোচনীয় নজির পাওয়া যায় ২০১০ সালে। বারাক ওবামার আমন্ত্রণে এক নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন স্টিভ জবস। বিশ্বপ্রযুক্তি অঙ্গনের শীর্ষ প্রায় সব উদ্ভাবকই এ আসরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাওয়াত পান। তবে স্টিভ ছিলেন এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল।
বলতে গেলে ওই নৈশ্য আসরের মধ্যমণি। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে স্টিভ বারাক ওবামার প্রশাসনের ব্যবসানীতিকে খানিকটা প্রশ্নবিদ্ধ করেন। স্টিভ বলেন, এমন ধারায় বিনিয়োগ আর ব্যবসা বৈপীরত্য চললে অচিরেই যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়বে। এমনকি বিশ্বব্যবসায় অর্থনৈতিক মন্দারও আর্বিভাব হতে পারে।
সবচেয়ে আলোচিত বক্তব্যটি হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বারাক ওবামা ক্রমেই অজনপ্রিয় হয়ে উঠছেন তা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্টিভ। আর এটাই হবে তাঁর ক্ষমতা হারানোর মূল কারণ। অর্থাৎ দ্বিতীয়বারের মতো বারাক ওবামা আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারবেন না।
এরই মধ্যে স্টিভের জীবনী এবং রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে বই লিখতে শুরু করেছেন বিশিষ্ট লেখক ওয়ালটার আইজ্যাকসন। তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ স্টিভের সাক্ষাৎকারগুলোর বিশ্লেষণ নিয়েও কাজ করছেন। এ সবের মধ্যে স্টিভের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দর্শনও প্রাধান্য পাচ্ছে।
স্টিভ আজ নেই। মার্কিন নির্বাচন আসন্ন। আর এরই মধ্যে বারাক ওবামার প্রশাসনেও জন্ম নিয়েছে নানাবিধ বিতর্ক। এ অবস্থায় মার্কিন প্রশাসন নিয়ে যদি স্টিভের ভবিষ্যৎবাণী বাস্তব হয়, তবে স্টিভের রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি পাবে আরেক নতুন মাত্রা। সময়ই বলে দেবে স্টিভের এ ভবিষ্যৎবাণী কতটা অপ্রতিরোধ্য, কতটাই বা গ্রহণযোগ্য।
বাংলাদেশ সময় ২১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১১