ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এক বছরের মধ্যেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাবে ব্রডব্যান্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
এক বছরের মধ্যেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাবে ব্রডব্যান্ড ‘টেকশহরডটকম স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো-২০১৮’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা থাকবে না, যেখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা থাকবে না।

তিনি বলেছেন, সরকার তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই অসম্ভবকে সম্ভব করবে। এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৬০০ ইউনিয়নকে সরকারিভাবে, ১২০০ ইউনিয়নকে বিটিসিএলের মাধ্যমে ও বাকি ৭৭২টি ইউনিয়নকে অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় এনে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে।

এছাড়া দুর্গম, প্রত্যন্ত ও পার্বত্য এলাকায় এসএস তহবিলের মাধ্যমে মোবাইল নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা হবে। এর ফলে কোথাও নেটওয়ার্কের সমস্যা আর থাকবে না।  

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘এক্সপো মেকার’ আয়োজিত ‘টেকশহরডটকম স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো-২০১৮’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশে এখনও মোবাইল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে কিছু কিছু সমস্যা দেখা দেয় উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের দেশে এক মেগাহার্ডজ স্পেকট্রাম দিয়ে ২০ লাখ মানুষকে মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্ভিস দেওয়া হয়। যেটা পৃথিবীর আর অন্য কোথাও নেই। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন লাভ করেছে। সব সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াইফাইয়ের অন্তর্গত করা হচ্ছে। সরকারের এটুআই প্রজেক্টের মাধ্যমে সব সরকারি সেবা মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়া আমরা তরঙ্গ নিরপেক্ষতা ও অনুমোদন করেছি। যে কারণে নেটওয়ার্ক ব্যবহারে কোনো বাধা আর থাকছে না।  

সরকার ইন্টারনেটের ওপর কর কমিয়েছে, তাই গ্রাহকরাও ৫ শতাংশ কম কর দেওয়ার সুযোগ পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের ওপর অচিরেই চাপ সৃষ্টি করবো। কেননা আমরা কর কমিয়েছি এ সুযোগ অবশ্যই গ্রাহকরা পাবে। এছাড়া আমদানিকৃত পণ্যের ওপর আমরা এবার কর বাড়াইনি। কিন্তু আগামী বছরও যে কর বাড়বে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমরা ৯৪টি যন্ত্রাংশের শুল্ক ১ শতাংশে নামিয়েছি।  

ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, হার্ডওয়্যার রপ্তানির ক্ষেত্রে ক্যাশ ইনসেনটিভ প্রদান করা হচ্ছে, যেটা পৃথিবীতে একমাত্র বাংলাদেশেই হয়। হাইটেক পার্কে কারখানা স্থাপন করা হলে ১০ শতাংশ কর রেয়াত করা হয়। তাছাড়া নিজস্ব কারখানা কেউ হাইটেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা দিলেও এ সুযোগ পাওয়া যাবে।  

প্রযুক্তিবিষয়ক মেলা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ধরনের মেলাকে ঢাকার বাইরে পৌঁছে দিতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার সহায়তা করবে। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার মেলা আমি করেছিলাম। সেবার আমেরিকান স্কুলের ভলিবল মাঠ এ মেলাটি হয়েছিল। এইসব মেলার মাধ্যমে গ্রাহকদের মধ্যে একটি বন্ধনের সৃষ্টি হয়।

‘এক্সপো মেকার’র কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্যামসাং’র কান্ট্রি ম্যানেজার স্যাংওয়ান ইউন, ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও রেজওয়ানুল হক, এডিসন গ্রুপের সিনিয়র ডিরেক্টর মাকসুদুর রহমান, ইউ স্মার্ট সল্যুশনের ডেপুটি ম্যানেজার মুনতাসির আহমেদ, হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যারন শি, নকিয়া বাংলাদেশের হেড অব মার্কেটিং ইফাত জহুর, অপ্পো বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর ব্রুস লি, ভিভো বাংলাদেশের কান্ট্রি সেলস ডিরেক্টর শ্যারন ওয়েন।  

স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার নিয়ে এক্সপো মেকারের এই মেলা চলবে আগামী শনিবার (১৪ জুলােই) পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই মেলায় পাওয়া যাবে বিভিন্ন কোম্পানির স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট। যাতে আবার থাকছে বিশেষ ছাড় ও আকর্ষণীয় উপহার। ডিভাইস ছাড়াও এই মেলায় পাওয়া যাবে মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ। এছাড়া নতুন মডেলের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট উন্মোচনও হবে এই মেলায়।  

প্রদর্শনীর সব আপডেট ও খবর মেলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে http://www.facebook.comSTExpo পাওয়া যাবে এবং এই পেজে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ‘স্মার্ট ওয়ারিওর কুইজ’ কনটেস্ট। এতে বিজয়ীরা পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
এমএএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।