ক্রিমসন হেক্সাগন নামের বোস্টনভিত্তিক ওই প্রতিষ্ঠানটি ভোক্তার মনোভাব নিয়ে কাজ করে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বলে নিজেদের দাবি করে।
ফেসবুক জানায়, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে তথ্য সংগ্রহের কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য মতে, ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটি রাশিয়ান অলাভজনক প্রতিষ্ঠানসহ মার্কিন সরকারের একাধিক সংস্থার সঙ্গে ফেসবুকের পাবলিক ডেটা বিশ্লেষণ করে দেওয়ার চুক্তি রয়েছে ক্রিমসন হেক্সাগনের।
শুক্রবার (২০ জুলাই) ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেন, বিভিন্ন ডেভেলপারদের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের তথ্য নিয়ে ব্যবহাকারীদের ওপর নজরদারি চালাতে আমরা দেব না। এ ধরনের অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে এসব অ্যাপগুলোকে আমরা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।
২০১৭ সালের মার্চে একটি ‘সিভিল লিবার্টিজ’ গ্রুপের চাপের মুখে ব্যবহারকারীদের তথ্য সরকারি নজদারিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কটি।
ক্রিমসন হেক্সাগনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য মতে, তারা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ব্যবহারকারীদের ১০ হাজার কোটি পোস্ট সংগ্রহ করেছে। প্রতিদিন ১৬ কোটিরও বেশি ছবি বিশ্লেষণ করতে সক্ষম বলে নিজেদের দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি। সরকারি সংস্থা ছাড়াও এডিডাস, স্যামসাংসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও কাজ করেছে ক্রিমসন হেক্সাগন।
গত এপ্রিলে ব্যবহারকারীদের তথ্য পাচারের অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে যুক্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা প্রায় ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পরে মোট ৮ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের তথ্যচুরির খবর নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
এনএইচটি