সবাই জানে আসবে আইফোন৫। কিন্তু শেষমেশ এল আইফোন ‘৪এস’।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতিটা মোটেও অ্যাপলের জন্য সামলে উঠার মতো নয়। তবুও স্টিভে মন্ত্রেই সচল অ্যাপল প্রধান নির্বাহী টিম কুক। সৃষ্টির জন্যই জীবন। এ কথা বিশ্বাস মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন স্টিভ। আর অ্যাপলের কর্মীরাও জানত।
তবে ৪ অক্টোবর যাত্রা শুরুর মাস না পার হতেই ব্যাটারি দূর্বলতায় সমালোচনার মুখে পড়েছে আইফোন ৪এস। এরই মধ্যে অ্যাপল সেবাকেন্দ্রগুলোতে ২ হাজারেরও বেশি আইফোন ৪এস ফেরত এসেছে। এর কারণ মোটেও চার্জ থাকছে না এ মডেলে।
অন্যদিকে আইফোন৪ ভোক্তারা নতুন আসা আইওএস৫ অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করেও পড়েছেন একই বিপাকে। চার্জ থাকছে না মোটেও। তবে অ্যাপলের কারিগরি বিভাগ এ বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্টভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি। এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে এটা সত্য বলে জানিয়েছে অ্যাপল সূত্র।
আইফোন ৪এস নিয়ে ব্যাটারি দূর্বলতার গবেষণায় উঠে এসেছে, এ মডেলে প্রতি ঘণ্টায় ১৫ ভাগ বিদ্যুৎ খরচ অপচয় হয়ে যাচ্ছে। এমনকি আগের আইফোন৪ ভোক্তারা আগ্রহে নিয়ে নতুন আইফোন অপারেটিং সিস্টেম আইওএস৫ ইন্সটল করেও পড়েছেন একই যন্ত্রণায়।
যদিও আইফোন ৪এস মডেলের গুণগত বিচারে অবিরাম চার্জ থাকবে এমন নিশ্চয়তাই দেওয়া হয়। থ্রিজি নেটওয়ার্কে ৮ ঘণ্টা আর টুজি নেটওয়ার্কে ১৪ ঘণ্টা একটানা টকটাইম সুবিধা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছিল অ্যাপল। কিন্তু বাস্তবে হলো ঠিক তার বিপরীত।
অন্যদিকে স্ট্যান্ডবাই সময় হবে ২০০ ঘণ্টা। এ ছাড়াও ৬ ঘণ্টা থ্রিজি ব্রাউজিং, ৯ ঘণ্টা ওয়াইফাই ব্রাউজিং, ১০ ঘণ্টা ভিডিও এবং ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত মিউজিক সুবিধাও নিশ্চিত করার কথা জানায় অ্যাপল।
কিন্তু এ নিশ্চয়তা এখন অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ। আইফোন ভক্তরা হতাশ। আর বিপাকে অ্যাপল। সব মিলিয়ে দ্রুতই সমাধান প্রত্যাশা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা দু পক্ষই। তবে এ জন্য প্রয়োজন আরও খানিকটা সময় আর সুনির্দিষ্ট কারিগরি ব্যাখা।
বাংলাদেশ সময় ১৭২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১১