তথ্যবিস্ফোরণে বিশ্বকাঁপানো ‘উইকিলিকস’ প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এখন আইনি ময়দানে। যৌন হয়রানির অভিযোগে তিনি কাঠগড়ায় বিচারাধীন।
২০১০ সালে অনেকটা সময়জুড়েই উইকিলিকস তথ্যবিশ্বের চেহারাই বদলে দিয়েছে। ঘাম ঝড়িয়েছেন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেরই রাষ্ট্রপ্রধান আর মন্ত্রীদের। একে একে থলের বিড়ালের মতো বেড়িয়ে আসছিল কঠিন সব রাষ্ট্রীয় গোপন সত্য আর দুর্নীতির প্রমাণপত্র।
এ গোয়েন্দা তথ্যমাধ্যম ‘উইকিলিকস’ প্রধান জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এখন আন্তর্জাতিক আইনি বিপাকে পড়েছেন। আর তা সহজেই সামাল দিতে পারছেন না এটাও প্রায় নিশ্চিত। অবশেষে প্রবাসী আদালতে বিচারের সম্মুখীন হয়েছেন অ্যাসাঞ্জ। আর এ মামলায় তাঁর আবেদন এরই মধ্যে খারিজ হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ান এ নাগরিক এখন বিদেশি আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন। অচিরেই হয়তো তাঁকে জেল জরিমানাও করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান সরকারও উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পক্ষে সুস্পষ্ট কোনো অবস্থান নিচ্ছে না। ফলে ক্রমেই আইনি লড়াইয়ের জালে জড়িয়ে পড়ছে অ্যাসাঞ্জ। এরই মধ্যে উইকিলিকসের কার্যক্রম গুটিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েও পার পাচ্ছেন না অ্যাসাঞ্জ।
অ্যাসাঞ্জের আইনি পরামর্শক জেফরি রবার্টসন জানান, এ সমস্যা নিরসনে ক্যানবেরায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্ট করপোরেশনের হস্তক্ষেপ একান্ত কাম্য। এ ছাড়া অ্যাসাঞ্জের সহজ মুক্তি প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে উঠবে।
এ সত্য অ্যাসাঞ্জও অনুভব করতে পারছেন। তবে একের পর এক মামলায় জড়িয়ে পড়ছেন অ্যাসাঞ্জ। আর মামলার রায়ও যাচ্ছে তাঁর বিপক্ষে। সব মিলিয়ে অ্যাসাঞ্জকে শেষ পর্যন্ত জেলহাজতের দুর্ভাগ্যই মেনে নিতে হবে। গুণতে হবে বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও।
বাংলাদেশ সময় ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১১