বিশ্বের সুপরিচিত গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান আইডিসি এর গণনায় উঠে এসেছে বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্যাসমাং’র নাম। ফলে কোরিয়ান এই ইলেকট্রনিক্স জায়েন্ট বিশ্ব আলোচিত অ্যাপলের স্থানটি দখল করে নিয়েছে।
এছাড়া প্রযুক্তি জগতের প্রায় সবাই স্যামসাং এবং অ্যাপল উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের যে টানাপড়েন রয়েছে তা অবগত। কারণ প্রতিষ্ঠান দুটি যে যার মতো একে অপরকে পাল্টা মামলা চাপিয়ে চলেছে। তাই এই প্রতিদ্বন্দীতার অন্যান্য দিক সম্পর্কে বেশী বলা বাহুল্য। তবে অ্যাপল শীর্ষ স্থানটি দখলের জন্য সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালিয়ে ভালোভাবে এবং সহজেই লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম হয়েছিল। একচেটিয়া পণ্য বিপণন করে স্যামসাং ও নকিয়াকে রেখেছে পেছনে। যেই একই ঘটনার সুচনা করল স্যামসাং। এ বছরের তৃতীয় ভাগে স্যামসাং’র এই সফলতা অর্জন। আর অ্যাপল ১৭.৩ মিলিয়ন স্মার্টফোন বিক্রি করে বর্তমানে আছে দিতীয় স্থানে।
আর গ্লোবাল স্মার্টফোন বাজারের শেয়ারের হিসাবে বর্তমানে স্যামসাং’র শেয়ারের পরিমান ২০ শতাংশ, অ্যাপলের ১৫ শতাংশ। আর নকিয়ার শেয়ার নাটকীয়ভাবে অবনতি হয়েছে। কারণ শেষভাগে নকিয়ার শেয়ারের অর্ধাংশ পড়ে যায়। এ বছরের দিতীয় ভাগ পর্যন্তও নকিয়ার স্মার্টফোনের বাজারে পুরো শেয়ারের পরিমান ছিল ২৮ শতাংশ যা বর্তমানে মাত্র ১৪ শতাংশ। এছাড়া কঠোর প্রচেষ্টা সত্বেও হঠাৎ করেই রিমের শেয়ার নিম্নমুখী হয়ে ১৫ থেকে ১০ এ গিয়ে ঠেকে। এইচটিসি শেয়ারের পরিমান ১১ শতাংশ নিয়ে আছে পঞ্চমে। যা আগের থেকে ৪ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পণ্যের বাজারজাতকরণই সত্যিকারে বিপণন ক্ষেত্রে প্রতিফলন ঘটায়না।
সময়: ১৪৩৫ ঘন্টা, ১২ নভেম্বর, ২০১১