ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পেল চার প্রতিষ্ঠান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পেল চার প্রতিষ্ঠান বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে অতিথিরা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশে টেলিযোগাযোগ সেবায় আরেকটি মাইলফলক হিসেবে চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোবাইল ফোন টাওয়ার অবকাঠামো ভাগাভাগি সংক্রান্ত টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদান করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। 

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মোবাইল টাওয়ার অবকাঠামো সেবা প্রদানে সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান-ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, সামিট টাওয়ারস লিমিটেড, কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড ও এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেডকে এ লাইসেন্স দেওয়া হয়।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিশেষ অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।


   
ইডটকো’র পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল চৌধুরী, সামিট টাওয়ারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফ আল ইসলাম, এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান মোল্লা এবং কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান করিম লাইসেন্স গ্রহণ করেন।  

মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষেণ ও অবকাঠামো ব্যবস্থাপনায় বিপুল ব্যয়ের পাশাপাশি টাওয়ারের অনিয়ন্ত্রিত সংখ্যা, ভূমি ও বিদ্যুতের সংকট ছাড়াও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাবের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে এ লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।  

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সের ফলে মোবাইল টাওয়ার লাইসেন্স রোল আউটের উপর ভিত্তি করে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো কোনো নতুন টাওয়ার স্থাপন করতে পারবে না। এছাড়া এক অপারেটর আরেক অপারেটরের কাছে আর টাওয়ার ভাড়া দিতে পারবে না।  কিন্তু লাইসেন্স পাওয়া টাওয়ার কোম্পানির কাছে তাদের টাওয়ার বিক্রি করতে পারবে।  

লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রথম বছরে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে।  দ্বিতীয় বছর জেলা শহর, তৃতীয় বছর ৩০ শতাংশ উপজেলা, চতুর্থ বছর ৬০ শতাংশ উপজেলা ও পঞ্চম বছর দেশের সব উপজেলায় টাওয়ার সেবা প্রদান করতে হবে।  

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সের জন্য ২৫ কোটি টাকা দিয়ে এ লাইসেন্স নিতে হবে, বার্ষিক নবায়ন ফি থাকবে ৫ কোটি টাকা এবং ২য় বছর থেকে বিটিআরসির সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে জমা দিতে হবে ১ শতাংশ হারে।  লাইসেন্সের মেয়াদ কাল ১৫ বছর।  

দেশে টাওয়ার শেয়ারিং সেবা দেওয়ার জন্য টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পেতে গত জুনে আটটি প্রতিষ্ঠান বিটিআরসির কাছে আবেদন করে।  এসব আবেদন মূল্যায়নে গঠিত ১৫ সদস্যের কমিটি মূল্যায়ন শেষে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে নম্বর দেয়। আটটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কমিটির মূল্যায়নে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া চার প্রতিষ্ঠানকে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হয়।  

কমিশনের সুপারিশক্রমে সরকার গত ১৪ জুলাই চার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে লাইসেন্স প্রদানের পূর্বানুমোদন পাওয়া  যায় এবং ১৬ জুলাই টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদানের লক্ষ্যে অনুমোদিত চারটি প্রতিষ্ঠানকে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার মো. রেজাউল কাদের, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুল হাসান, বিভিন্ন বিভাগের মহাপরিচালক, পরিচালক এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
এমআইএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।