যত দিন যাচ্ছে ব্যক্তিতথ্যের সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিয়েই ততই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ফেসুবক। এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগের সবগুলো মাধ্যমের ওপরই এখন আইনি নজরদারি বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে তথ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিও। এরই মধ্যে ফেসবুকের ব্যক্তিতথ্য চর্চা নিয়ে ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশন তদন্ত পরিচালনা করেছে। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালেও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্যক্তিতথ্য পরিবর্তনে ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশনের কাছে যে সম্মতি চেয়েছে তা মঞ্জুর হলে আগামী ২০ বছর পর্যন্ত প্রাইভেসি চুক্তি জটলা থেকে ফেসবুক অনেকটাই রেহাই পাবে।
ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ ব্যক্তিতথ্য নিরপত্তাহীন একটি ওয়েব সংস্কৃতির স্বপ্ন দেখেন। তাই ব্যক্তিতথ্যের গোপনীয়তা প্রসঙ্গে জুকারবার্গ অনেকটাই উন্মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার কথাই বলে আসছেন। তবে তথ্য ব্যক্তির একান্তই স্বাধীন অধিকার। এ নিয়ে উন্মুক্ত চর্চা করতে হলে অবশ্যই ব্যক্তি মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
এ সংস্কৃতিকে ঘিরে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বৈপরীত্য মোটেও প্রত্যাশিত নয় বলে তথ্য বিশ্লেষকেরা অভিমত দিয়েছেন। আর তথ্য নিয়ে অবাধ সংস্কৃতি চর্চা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি একেবারে গুরুত্বহীন ভাবার কোনো যুক্তি নেই বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন।
বাংলাদেশ সময় ১৯১৪, নভেম্বর ১৩, ২০১১