অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব তার ভিডিও আপলোডকারী ব্যবহারকারীদের জন্য সুযোগ করেছে অর্থ উপার্জনের। মজার মজার সব হাস্যকর পরিবারভিত্তিক আপলোডকৃত ভিডিও যেগুলো এ মুহূর্তে অনলাইন জুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সেইসব আপলোডকারী পরিবারগুলো পাচ্ছে এই বড় অঙ্কের সম্মানী। ইউটিউব সূত্র জানিয়েছে, যৌথভাবে এসব পরিবার এবং ইউটিউবের মধ্যে উপার্জিত অর্থ বন্টন করা হবে। আর এই অর্থ জনপ্রিয় প্রদর্শিত ভিডিওগুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন থেকে আসা।
এ সাইটের যেসব ভিডিওগুলো ইউটিউব দর্শকদের মাতিয়েছে তার মধ্যে আছে ছোট শিুশু অর্থাৎ যেসব শিশুরা একটু একটু হাটতে পারে তাদের ফিকফিকে হাসি, ঘরোয়া ধাপ্পাবাজি ভিডিও, পরিবারের চমকপ্রদ ভ্রমনের হাস্যকর ভিডিও এবং টিনেজারদের উচ্চ চিৎকারের ভিডিও। এসব শ্রেণীর ভিডিও তাদের বাবা মা গর্বের সঙ্গেই অনলাইনে পোষ্ট করেছিল যার ফলস্বরপ তাদের ভাগ্যে মিলিছে এই সুবর্ণ সুযোগ।
উল্লেখ্য, ইউটিউব তার ওয়েবসাইটে আপলোডকৃত ভিডিওগুলো পর্যবেক্ষণ করেছে কোনটিতে প্রচুর মজা আছে। এছাড়াও ধারণা অনুযায়ী কোন ভিডিওগুলো ব্যাপক মানুষের নজর কাড়বে। এমনকি তারা আপলোডকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং উপার্জনের সুযোগ সম্পর্কে জানিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সূত্র মতে, যে ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে ব্যাপক সফল হয়েছে তার বিস্তারিত কার্যফল অনুযায়ী সমাধানপদ্ধতির উন্নয়ন করা হয়েছে ।
মি. ড্যাভিস কার, দ্যা সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন জন্মগ্রহনের সময় থেকেই সন্তানকে ক্যামেরার নজরে রেখেছি। হাওয়ার্ড ড্যাভিস কার’র ছেলে চার্লি যার হোম ভিডিও দৃশ্যে আছে পর্যায়ক্রমে বড় ভাই হ্যারির আঙ্গুল কামড়ের দৃশ্য। যে ভিডিও প্রায় ৪০০ মিলিয়নের কাছাকাছি দেখা হয়েছে। আর অংশীদারি হিসেবে ড্যাভিস পেয়েছেন ১ লাখ পাউন্ড।
আরেক আপলোডার ডেভিড ডিভোর যিনি তার সন্তানের দন্ত্যচিকিৎসকের থেকে আসার মুহূতের্র দৃশ্য ধারণ করে। আর আপলোডের প্রথম বছরেই প্রায় ১ লাখ পাউন্ড অর্জন করতে সক্ষম হয়। এমনই অনেক হাস্যকর পারিবারিক মুহূর্তের ভিডিও বর্তমানে ইউটিউবে উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, কেভিন এ্যালোকা ইউটিউবের ব্যবস্থাপক যিনি দ্যা সানডে টাইমসকে জানিয়েছেন এ সাইটে আপলোডকৃত অতি কম সংখ্যার ভিডিও ৪ থেকে ৫ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে।
সময়: ১৭৪০ ঘন্টা, ১৪ নভেম্বর, ২০১১