ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শিশুর নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য ইউনিসেফ-গ্রামীণফোন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
শিশুর নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য ইউনিসেফ-গ্রামীণফোন শিশুর নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য কাজ করছে ইউনিসেফ, টেলিনর ও গ্রামীণফোন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে এবং সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য একত্রে কাজ করছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ, টেলিনর ও গ্রামীণফোন।

শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা কর্মসূচির ‘বি স্মার্ট ইউজ হার্ট’, আওতায় সারাদেশের ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এবং ৭৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষক, বাবা-মা ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রচার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
 
কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ইতিবাচক ডিজিটাল শিক্ষার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আরও ভালোভাবে নিরাপত্তা, সচেতনতা ও সংবেদনশীলতা তৈরি করা।


 
কর্মসূচির আওতায় শিশু নিরাপত্তার জন্য সরাসরি কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি চাইল্ড হেল্পলাইন হটলাইন (১০৯৮) পরিষেবার মাধ্যমে নিরাপদ ডিজিটাল অভিজ্ঞতা এবং সম্প্রসারণ নিশ্চিত করার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়।
 
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-১০ বাস্তবায়ন ও বৈষম্য কমানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে শিশু অনলাইন নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করতে ইউনিসেফ, গ্রামীণফোন ও টেলিনর গ্রুপ চুক্তিবদ্ধ হয়। চলতি বছরের জুন মাসে চালু করে শিশু অনলাইন নিরাপত্তা কর্মসূচি।
 
সোমবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গ্রামীনফোন কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশে প্রতিটি সন্তানের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট’ বিষয়ক আলোচনায় এসব তথ্য জানানো হয়।
 
আলোচনায় অংশ নেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত সচিব ড. মাহমুদুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, স্যার জন উইলসন স্কুলের প্রিন্সিপাল সাবরিনা শহীদ, ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের কমিউনিকেশন অ্যান্ড আউটরিট ডিরেক্টর মৌটুসী কবির প্রমুখ।
 
বক্তারা বলেন, নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সবসময় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টারনেট নিয়ে কৌতূহল থাকে। তাদের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা দিতে হবে। যাতে তারা সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা পেতে পারে। এজন্য শিক্ষা আইন যুগোপযোগী করতে হবে এবং অভিবাবকদের শিশুদের প্রতি নজর রাখতে হবে। এছাড়া সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও অভিবাবকদের নিয়ে যৌথ আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে।  

অনুষ্ঠানে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা কিভাবে নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
এসই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।