তোফায়েল আলী কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রতিযোগিতা ‘মোবাইল মাস্টার ২০১১’ অনুষ্ঠিত হয় । ডেনমার্কের অল্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে এবং পি.এইচ.ডি ফেলো মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালিদের পরিকল্পনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রতনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ.কে.এম রফিকুল্লাহ ।
এমন আয়োজনের শুরুতে সাইফুদ্দিন খালিদ একটি জরিপে দেখেন, গ্রামের ছেলেমেয়েরা ইন্টারনেট সুবিধা গ্রহণ করতে পারে না। কারণ কমপিউটার নেই। তাছাড়া ইন্টারনেট মডেমের গতিও অনেক ধীর। কিন্তু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুব সহজেই তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।
এ বিষয়ে সাইফুদ্দিন খালিদ বাংলানিউজকে বলেন, অধিকাংশ বাড়িতেই মোবাইল আছে। যে সব মোবাইলে ক্যামেরা সুবিধাও পাওয়া যায়। আর এ মোবাইলগুলো ইন্টারনেট সমর্থন করে। কিন্তু ব্যবহার করার পদ্ধতি জানে না দেখে ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।
মোবাইল মাস্টার আয়োজনের আগে খালিদ ৪৫ জন শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেন। এতে কিভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ প্রশিক্ষণে খালিদ আরও শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হয়ে ওঠে।
সবাইকে শেখানো হয় কি করে ইন্টারনেট ব্যবহার করে জ্ঞানার্জন সম্ভব। গুগলে কি করে নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য বের করতে হয় এ বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের পরই তিনি নিজ উদ্যোগে ‘মোবাইল মাস্টার’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।
কলেজ ক্যাম্পাসের এ অনুষ্ঠান চারটি বিভাগ ছিল। ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী ‘ক’, ৯ম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী খ, শিক্ষক/শিক্ষিকা ও তাদের পরিবারের সদস্য ‘গ’ গ্রুপ এবং শিক্ষার্থীদের সদস্য ও সাবেক শিক্ষার্থীরা ছিল ‘ঘ’ গ্রুপভুক্ত ।
খাগাতুয়া গ্রামের নিবিড় পল্লিতে উৎসবটি ছিল একটি উপভোগ্য বিষয় । ৮৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে একজন ‘মোবাইল প্রফেসর’ চারজন ‘মোবাইল মাস্টার’ খুঁজ়ে বের করা হয় । সঙ্গে আরও ৮ জনকে পুরস্কৃত করা হয় । উৎসবে মোবাইল প্রফেসর হিসেবে স্বীকৃতি পান খাগাতুয়া গ্রামের মাহবুব।
উৎসবের আগে কারও মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ছিল না । সাইফুদ্দিন খালিদের চার দিনব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রশিক্ষণের ফলে তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এরা এখন সবাই মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১১