ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ই-এশিয়া ২০১১

ভাঙলো তথ্য-প্রযুক্তির মহা মিলন মেলা

মনোয়ারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১১
ভাঙলো তথ্য-প্রযুক্তির মহা মিলন মেলা

ঢাকা: দর্শকদের ব্যাপক উপস্থিতি আর তারুণ্য উন্মাদনায় সম্পন্ন হলো তিন দিনব্যাপী ই-এশিয়া ২০১১। শনিবার সন্ধ্যায় সম্মেলনের সমাপনী ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।



এশিয়ার বিভিন্ন দেশের আইটি’র নানা আয়োজন ও দুই হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধির অংশগ্রহণে ই-এশিয়া তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এশিয়া মহাদেশের সর্ব বৃহৎ ও মহা মিলন মেলায় রূপ নেয়।

দেশের মানুষের মধ্যে এ রকম আয়োজন তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে আরো আগ্রহ তৈরি করেছে বলে জানান ই-এশিয়া ২০১১ আয়োজন সাব-কমিটির সদস্য আহমেদ হাসান।  

তিনি বলেন, ‘আমাদের মেলা সফল হয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষকে আইটি সম্পর্কে তথ্য জানাতে পেরেছি। এবারের মেলায় তরুণদের অংশগ্রহণ ছিলো আশাপ্রদ। ’

শনিবার শেষ দিনে মেলায় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার চিপ ও প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেল’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইন্টেল ওয়ার্ল্ড অ্যাহেড প্রকল্পের প্রধান জন ই-ডেভিস, ফ্রিল্যান্স কাজের ওয়েবসাইট ও-ডেস্ক ডটকম’র চিফ অপারেটিং অফিসার ম্যাট কুপার এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ মেলায় তথ্যপ্রযুক্তির নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছিলো।

বিভিন্ন দেশ তাদের স্টলে নিজ নিজ দেশের প্রযুক্তির ব্যবহার দেখিয়েছে।

মেলায় ‘দোয়েল’ ল্যাপটপ বিক্রির স্টল বেশ সাড়া ফেলেছিলো। শনিবার দুপুরের পর ভিড়ের চাপে ল্যাপটপ বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোয়েল কাউন্টার’র একাউন্টস অফিসার ফারহানা শারমিন।

এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নানা প্রযুক্তির প্রদর্শনী, তৈরি কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং যন্ত্রাংশ নিয়ে এবারের মেলা শুরু থেকেই ছিলো জমজমাট।

প্রযুক্তির এই মহাসম্মেলনে শুরু থেকেই আগ্রহী দর্শনার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার ভিড় ছিল বেশি।  

শেষ দিনেও ভিড় ছিলো। তবে রাষ্ট্রপতির আসার কারণে কড়াকড়ি আরোপ করা হলে দর্শনার্থী কমে যায়। তারপরও দর্শনার্থী আর প্রযুক্তিবিদদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিলো সম্মেলন প্রাঙ্গণ।

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন সম্ভাবনার আভাস দিয়েই ‘ই-এশিয়া ২০১১’ -এর পর্দা নামলো। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-এশিয়া সম্মেলন ২০১১ উদ্বোধন করেন।

মেলার শেষ দিনে শনিবার ১০টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা বক্তব্য প্রদান করেন।

প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে দ্রুত ও কার্যকরী উন্নয়ন সম্ভব এবং সারা বিশ্বকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসা যায়, সে বিষয়ে বক্তারা বিভিন্ন পন্থা এবং দিক-নির্দেশনা তুলে ধরেন।

তিন দিনের এই আয়োজনে সম-সাময়িক আইসিটি ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ৩০টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি এবারের প্রদর্শনীতে মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, জাপান, থাইল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের কান্ট্রি প্যাভিলিয়ন স্থান পায়।

বাংলাদেশের আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলোও এখানে তাদের সক্ষমতা তুলে ধরেছে।

প্রসঙ্গত, ৫ম বারের মতো আয়োজিত এশিয়ার অন্যতম প্রধান এই আইসিটি ভিত্তিক ইভেন্টটি বাংলাদেশে প্রথম আয়োজিত হয়। এই মহাসম্মেলনে দেশ ও বিদেশের শীর্ষস্থানীয় এবং বরেণ্য আইসিটি নেতৃবৃন্দসহ প্রায় দুই হাজারের মতো প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

বিভিন্ন দেশের আইসিটি পণ্য ও সেবা প্রদর্শনী, আইসিটি নির্ভর উন্নয়ন সম্পৃক্ত বিভিন্ন সেমিনার, বহির্বিশ্বের নেতৃবৃন্দের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা, ডিজিটাল উদ্যোগের জন্য পুরস্কার প্রভৃতি বিষয় এ মেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সেই সাথে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগও প্রদর্শিত হয়েছে।


এ আয়োজনের প্লাটিনাম স্পন্সর জিপিআইটি, গোল্ড স্পন্সর হুওয়ায়ে, গোল্ড ইন্টারনেট স্পন্সর কিউবি, সিলভার স্পন্সর সিসকো, ট্র্যাক স্পন্সর স্যামসাং ও ক্যাটালিস্ট।   নলেজ পার্টনার ছিলো ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনগুলো টেলিভিশন ও ওয়েবে সরাসরি সম্প্র্রচার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় ২১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।