এমনিতেই নিউ ইয়র্ক শহর সব সময়ই বিশ্ব আলোচনার শীর্ষে থাকে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এ রাজধানী বিশ্ব ফ্যাশন, ব্যবসা এবং মিডিয়ার প্রানকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
অ্যাপলের অফিস সিলিকন ভ্যালিতে থাকার কারণে তা নিউ ইয়র্ক শহরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিল। কিন্তু ফেসবুকের সাম্প্রতিক ঘোষণা এ সমীকরণে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। সিলিকন ভ্যালির বদলে এখন নিউ ইয়র্ক হয়ে উঠছে বিশ্বপ্রযুক্তির প্রাণকেন্দ্র। কারণ অচিরেই ফেসবুক এখানে তাদের কেন্দ্রীয় অফিস স্থাপন করতে যাচ্ছে।
নতুন এ অফিস প্রসঙ্গে এরই মধ্যে ম্যাডিসন এভিনিউ ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরলি স্যান্ডবার্গ, নিউ ইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ এবং নিউ ইয়র্কের সিনেটর চার্লস এক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ জানান, এ মুহূর্তে নিউ ইয়র্ক শহরে মেধাবীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়াও এ শহরে জ্ঞানভিত্তিক কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করার সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত সহজেই পাওয়া যায়। এ কারণে ফেসবুক এখানে কেন্দ্রীয় অফিস স্থাপনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি এবং স্যোশাল মিডিয়ার প্রাণসঞ্চারক শহর এখন নিউ ইয়র্ক। এ সমীকরণে ফেসবুক তাদের কেন্দ্রীয় অফিসের জন্য নিউ ইয়র্ককে নির্বাচন করেছে। ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরলি স্যান্ডবার্গ জানান, নিউ ইয়র্ক শহরে ফেসবুক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্টার উদ্যোগ নিয়েছে।
সিলিকন ভ্যালিতে অ্যাপল, গুগল, হিউলেট-প্যাকার্ড, ইন্টেল এবং ওরাকলের মতো এতগুলো বিখ্যাত টেকপ্রতিষ্ঠানের অফিস থাকায় এ শহর হয়ে উঠেছিল প্রযুক্তিশহর। তবে ফেসবুকের নিউ ইয়র্কমুখী হওয়ার প্রবণতায় সমীকরন এবার উল্টো পথে।
ভবিষ্যতে ফেসবুকের এ নিউ ইয়র্ক প্রবণতাকে পুঁজি করে অনেক প্রতিষ্ঠানই এ শহরে নতুন করে অফিস করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে। সম্প্রতি অনলাইন মিউজিক ক্রেজ স্পোটিফাই এ শহরে অফিস স্থাপন করায় নিউ ইয়র্কমুখী পালে আরও খানিকটা জোরালো হাওয়া লেগেছে।
ফেসবুক ইঞ্চিনিয়ারিং বিভাগের সহসভাপতি মাইক জানান, প্রযুক্তি প্রবৃদ্ধিতে এ মুহূর্তে নিউ ইয়র্ককে উপেক্ষা করা কঠিন। বিশ্বপ্রযুক্তির প্রাণকেন্দ্র (হাব) হয়ে উঠছে নিউ ইয়র্ক। তাই দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা পরিকল্পনা এবং প্রাণশক্তির কাছে থাকতেই ফেসবুক নিউ ইয়র্ক শহরে তার অবস্থান আরও সুদৃঢ় করছে।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১১