ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টেলি চিকিৎসায় গ্রামীণফোন

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১১
টেলি চিকিৎসায় গ্রামীণফোন

গ্রামীণফোনের পরীক্ষামূলক টেলিমেডিসিন প্রকল্প টেলিডার্মের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের মানুষদের চর্মরোগের বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা প্রদানে টেলিমেডিসিন ওয়ার্কিং গ্রুপ অব বাংলাদেশের(টিডাব্লিউজিবিডি) সঙ্গে গ্রামীণফোন চুক্তি সই করেছে।

বাংলাদেশের ৩০ ভাগ মানুষ তাদের জীবদ্দশায় বিভিন্ন ধরণের চর্ম রোগে ভোগেন।

চর্ম রোগের জটিলতা এড়াতে সঠিক সময়ে এ রোগ সনাক্ত করা ও চিকিৎসা করা আবশ্যক।

বাংলাদেশে ৩শ’রও কম চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আছেন। এদের সবাই শহরাঞ্চলে চিকিৎসা করে থাকেন। একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে ১৫ মিনিটের সাক্ষাতের জন্য গ্রামাঞ্চলের একজন চর্মরোগীর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করে শহরে আসতে হয়। এতে করে তাদের শুধু সময়ই নষ্ট হয় না, একজন দরিদ্র মানুষের জন্য এই ব্যয়ভার বহন করাও কষ্টসাধ্য।

এ সমস্যা নিরসনে টিডাব্লিউবিডিযের চেয়ারম্যান প্রফেসার রেজা বিন জিয়াদ ও গ্রামীণফোনের সিইও টোরে ইয়ানসেন গ্রামীণফোনের কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টারের (সিআইসি) সাহায্য এ পরীক্ষামূলক টেলিডার্মাটোলজি প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি সই করেছেন।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে চর্মরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ডিজিটাল ইমাজিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইন টেলিমেডিসিন (ডিআইসিওটি) এবং টেলিমেডিসিন ইনফরমেশন, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এডুকেশন সিস্টেমে (টিআইএমইএস) ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্য একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরমর্শ নিতে পারবেন।

প্রাথমিক পর্যায়ে ৪টি সিআইসিতে টেলিমেডিসিনের সব হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন করা হবে। সিইসি থেকে অনলাইন প্রেসক্রিপশনের এক কপি প্রিন্ট করে রোগীকে দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যত প্রয়োজনে রোগীর সঙ্গে ডাক্তারের প্রতিটি কথোপকথন আজীবন সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।

পরীক্ষামূলক এ প্রকল্প চর্মরোগের চিকিৎসাকে আরও সহজলভ্য করার সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত ও চিকিৎসা ব্যয় কমাতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গ্রামীণফোন সিইও জানান, বাংলাদেশের উন্নয়নে গ্রামীণফোন নিরলসভাবে কাজ করছে। এ উদ্যোগ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষদের জন্য চর্মরোগের চিকিৎসাকে আরও সহজলভ্য করবে। একই সঙ্গে এ প্রকল্প ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পথে আরও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে।

এ পরীক্ষামূলক প্রকল্পের সফলতার ভিত্তিতে পরবর্তীতে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও অন্যান্য রোগের চিকিসায় একই ধরনের প্রকল্প চালু করা সম্ভব হতে পারে।

বাংলাদেশ সময় ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।