ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারস ইনিস্টিটউট মিলনায়তনের (আইইবি) ইঞ্জিনিয়ারস রিক্রিয়েশন সেন্টারে (ইআরসি) ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘আইপিভি৬’ শীর্ষক কর্মশালা।
ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপটার এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের (এপনিক) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা সঞ্চালন করছেন এপনিকের ইন্টারনেট রিসোর্স অ্যানালিস্ট নুরুল ইসলাম রোমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইন্টারনেট দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রত্যেকটি কমপিউটার বা এ ধরনের যন্ত্রকে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হতে একটি বিশেষ নম্বরের প্রয়োজন। একে ‘আইপি’ বলে।
এ আইপি ঠিকানার গঠন এবং পরিসর একটি নিয়মের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। একে বলে ‘ইন্টারনেট প্রটোকল’। এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ কমপিউটার বা যন্ত্র যারা ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত তারা আইপি সংস্করণ৪ ব্যাবহার করে আসছে।
এ পুরোনো সংস্করণে ৪০০ কোটি আইপি ঠিকানা ধারণ করা সম্ভব। কিন্তু এ মুহূর্তে ইন্টারনেটের দ্রুত বিস্তারের কারণে এ ঠিকানাগুলো প্রায় শেষ হয়ে আসছে। এটি বর্তমান আইপি চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
এ ব্যবস্থায় আর কিছু দিনের মধ্যে নতুন কমপিউটার বা এ ধরনের যন্ত্রকে আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত করা সম্ভব হবে না। ফলে ইন্টারনেট সংস্কৃতির এ ব্যাপ্তী বন্ধ হয়ে যাবে। আইপি৬ সংস্করণ হচ্ছে এ সমস্যা সমাধানের একটি পন্থা বাস্তব কৌশল।
ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকার সভাপতি ড. সৈয়দ ফয়সাল হাসান জানান, আইপি৬ সংস্করণ ব্যবহারে এ সব খুঁটিনাটি কারিগরি জ্ঞান বাড়াতেই এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক গেটওয়ে অপারেটরের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
আইপি৬ সংস্করণ সম্পর্কে সবাইকে কীভাবে সচেতন করা যায় এ বিষয়ে কর্মশালায় আলোচনা হবে। এ কর্মশালা ২০ ডিসেম্বর শেষ হবে। কর্মশালার সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান উপস্থিত থাকবেন বলে আয়োজক সূত্র জানিয়েছেন।
এ কর্মশালার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আগ্রহীরা (www.apnic.net/events/calendar/training/2011/ipv6-bd-18Dec12) এ সাইট ভিজিটি করতে পারেন। প্রয়োজনে ([email protected]) এ ঠিকানায় ইমেইলও করতে পারবেন। হ্যালো: ০১৭১৪ ১৭৫৭১৮।
বাংলাদেশ সময় ২১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১১