ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটি প্রদর্শনী শেষ হলো

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১১
আইসিটি প্রদর্শনী শেষ হলো

বিজয়ের মাস এবং নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে গত ১৯ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল ঢাকার মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে ৮ দিনব্যাপী কমপিউটার মেলা। ২৬ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার আয়োজিত এই‘ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার ২০১১’ শীর্ষক মেলার সমাপনী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কালের কন্ঠের সহ-সম্পাদক মোস্তফা কামাল এবং বিসিএস এর নব নির্বাচিত সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ছিলেন মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সভাপতি তৌফিক এহেসান এবং পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাল্টিপ্ল্যানের সাধারন সম্পাদক সুব্রত সরকার।

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ এর ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিরোধ সংক্রান্ত মেলার মুল প্রতিপাদ্য ‘গো গ্রিন উইথ আইসিটিকে’ সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে বক্তারা তাদের বক্তব্য শুরু করেন।

এছাড়া মেলার আহবায়ক পরিষদের সদস্যরা চতুর্থবারের এই আয়োজন ব্যাপক সার্থক হয়েছে বলে জানান। আর এই কার্যক্রমকে শুধুমাত্র ব্যবসার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্তক প্রয়াস ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বিগত দিনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আইসিটি পণ্যের বর্তমান সহজবোধ্য দিকগুলোকে অবিশ্বাস্য ও বিষ্ময়কর বলে অভিহিত করেন। যদিও দেশে সেরকম হার্ডওয়্যার শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই তাই ই-বর্জ্য তেমন ক্ষতিকর না হলেও তরুন প্রজন্ম যেভাবে প্রযুক্তিপণ্যমুখী হচ্ছে তাই এখন থেকই সতর্ক থাকারও আহবান জানান। সেইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য প্রভাশালী দেশগুলোর তুলনায় দেশের কমপিউটার বাজারের বর্তমান রুপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন তিনি।

বিসিএস সভাপতি কমপিউটার ব্যবসাকে আরো লাভজনক ও সার্থক করতে বিজনেস পলিসি তৈরীতে গুরুত্ব আরোপ করেন। বিশেষ করে পণ্যের ওয়ার‌্যান্টি নিশ্চিত করে সব পর্যায়ের গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা জাগ্রত করারও প্রস্তাব রাখেন।

এছাড়া কালের কন্ঠের সম্পাদক সংবাদ মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি অর্থাৎ কমিপউটার হচ্ছে তথ্যভান্ডার। যা কোনো লেখাকে করে সমৃদ্ধ ও তথ্যবহুল। এছাড়া যে কোনো অবস্থান থেকে সংবাদ পরিবেশন সম্ভব।

মেলার আহবায়ক মেলার অসাধারণ সার্থকতায় অভিভূত হয়ে আগামীতে বেশ কয়েকটি কর্মসুচী ঘোষণা করেন।

এদিন মেলায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা বাড়াতে ও উদ্বুদ্ধ করতে সনদপত্র বিতরণ করা হয় । এবং সহযোগি প্রতিষ্ঠান, সংবাদকর্মী, মেলার মূল্যবান ধারণা দেওয়া ও নিরলস পরিশ্রম করেছে যারা তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়। সবশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।