এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে হলে চাই পাসপোর্ট । এ পাসপোর্ট ছাড়া যে দেশ ত্যাগ বা দেশে ঢোকা যায় না এ কথা মোটামুটি সবারই জানা।
এমনই ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেল গত সপ্তাহে। পাসপোর্ট ছাড়াই দেশত্যাগ করলেন কানাডিয়ান নাগরিক মার্টিন রেইখ। কিভাবে সম্ভব? হ্যা, আইপ্যাড দেখিয়েই তিনি পার হলেন কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত।
অ্যাপলের আইপ্যাড নির্মাতা স্টিভ জবস বেঁচে থাকলে নির্ঘাত তার উদ্ভাবিত যন্ত্রের এ ব্যাতিক্রমধর্মী ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হতেন।
মার্টিন রেইখের নিবাসস্থল কানাডার কুইবেক প্রদেশে। কুইবেকে তার বাসা থেকে সীমান্তের দূরত্ব মাত্র আধা ঘণ্টার পথ। সীমান্তে এসে তিনি দেখলেন পাসপোর্ট ভুলে বাসায় ফেলে এসেছেন। তাই বলে তিনি ফিরে গেলেন না বাসায়।
সরাসরি চলে গেলেন সীমান্তরক্ষীদের কাছে। আর পকেট থেকে আইপ্যাডে স্ক্যান করে রাখা পাসপোর্টের কপি দেখিয়ে দিলেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছি। সেখানে বন্ধুদের বাচ্চাদের জন্য ক্রিসমাসের উপহার নিয়ে যাচ্ছি। এই হলো পাসপোর্ট আর ড্রাইভিং লাইসেন্স।
তবে সীমান্ত পার হয়ে এসে রেইখ একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে তার অভিজ্ঞতার কথা জানান। তুর ভাষ্যমতে, ভেবেছিলাম তারা যেতে দেবে না। তারা আমার আইপ্যাডটি নিয়ে সীমান্তের ছোটো ঘরে ঢুকে যায়। প্রায় ছয় মিনিট পরে তারা বেরিয়ে আসে। এরপর তারা আমার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হঠ্যাৎ করেই গেট খুলে দেওয়ার বাঁশিতে ফুঁ দেয়। এমনকি যাওয়ার আগে তারা আমাকে বড় দিনের শুভে”ছাও জানায়।
প্রায় এক বছর আগেই রেইখ তার পাসপোর্টটি আইপ্যাডে স্ক্যান করে রাখে। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে প্রমাণপত্র হিসেবে তিনি কর্তৃপক্ষকে এ ডিজিটাল কপিটি দেখাবেন বলে এ আগাম ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
মার্টিন রেইখের ঘটনাটি আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হলেও ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর অস্বাভাবিক মনে হবে না। সামনের দিনে হয়তো সীমান্ত পার হতে লাগবে না কোনো পাসপোর্ট কিংবা কাগুজে পত্র। শুধু ব্যবহারের মোবাইল ফোনই হবে পরিচয়ের নির্ভরযোগ্য মাপকাঠি।
বাংলাদেশ সময় ১৮৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১২