বিসিএস কমপিউটার সিটির বৃহৎ আয়োজন ‘সিটিআইটি২০১২’ শেষ হলো। এবারের প্রদর্শনীর শেষদিনেও তথ্যপ্রযুক্তিপ্রেমীদের ভিড় ছিল।
প্রতিটি স্টল ঘুরে নানা ধরনের পণ্যও কিনছেন ক্রেতারা। পুরো প্রযুক্তি আয়োজনের সঙ্গে কুইজ প্রতিযোগিতা, কমপিউটার কেনার সঙ্গে বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যও কিনছেন ক্রেতারা। এবারের প্রদর্শনীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দোকানে বিক্রি বেড়েছে, এমনই জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এবারের কেন্দ্রীয় মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অনেকটা বাস্তবায়ন হয়েছে। ডিজিটাল করার কারণে সাধারণ মানুষের অনেক সমস্যা দূর হয়েছে।
অনুষ্ঠানে এশিয়ান ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রিজ অর্গানাইজেশনসের (অ্যাসোসিও) সহসভাপতি আবদুল্লাহ এইচ কাফী বলেন, তরুণরাই তথ্যপ্রযুক্তিকে বদলে দিতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তির এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে তরুনদের মধ্যে প্রযুক্তির বিষয়গুলো আলোচিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে বিসিএস নির্বাহী কমিটির সভাপতি এটি শফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি আসলে প্রযুক্তিপ্রেমীদের মিলনমেলা। এবারের আয়োজন সফল।
আহ্বায়ক কাজী সামছুদ্দিন আহমেদ লাভলু জানান, সার্বিকভাবে প্রযুক্তিপ্রেমীদের আগমন এবং নিত্যনতুন প্রযুক্তিপণ্যের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে সফল হয়েছে এবারের সিটিআইটি। পরে মেলার গতকালের প্রবেশ টিকেটের উপর র্যাফেল ড্র পুরস্কারবিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সূত্র জানিয়েছে, বিসিএস কমপিউটার সিটি ৫ এবং ৬ জানুয়ারি প্রদর্শনীর আদলেই খোলা থাকবে। তবে ৭ এবং ৮ জানুয়ারি শনিবার ও রোববার এ সুবৃহৎ প্রযুক্তিবাজার বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ সময় ১৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১১