এবারে সরাসরি আর্থিক জরিমানা গুণতে হচ্ছে স্যামসাং আর এলজিকে। অর্থের অঙ্কটাও নেহাত কম নয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভোক্তাপণ্য পর্যবেক্ষক দলটি তদন্তে ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম নির্ধারণে গোপন চুক্তির অভিযোগের সত্যতায় এ আর্থিক জরিমানা করে। এর মধ্যে ফ্ল্যাট প্যানেল টিভি, ল্যাপটপ এবং ওয়াশিং মেশিনের দাম নির্ধারণের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ এবং ২০০৯ এ দুবছর ফ্ল্যাট টিভি এবং ল্যাপটপের দাম নির্ধারণে এ দু প্রতিষ্ঠান গোপন বৈঠকে আন্তচুক্তিতে সম্মত হয়। ফলে এ দুটি পণ্যের দাম দুবছর বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলকভাবে বেশি থাকে।
এ নীতি ভোক্তা স্বার্থের একেবারেই পরিপন্থী। আর এ অভিযোগের প্রমাণ মিলতেই একেবারে বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানা করে বসে এফটিসি কর্তৃপক্ষ। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলজি নিজস্ব তদন্তে ২০০৯ সালে নীতিনির্ধারণী কিছু কর্মকর্তা একটি গোপন বৈঠকের সত্যতা খুঁজে পায়।
কিন্তু অপর অভিযুক্ত স্যামসাং এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো অবস্থানই নেয়নি। এরই মধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে ভোক্তামহলে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বপ্রযুক্তির নীতিনির্ধারণীর শীর্ষ মহলেও এ নিয়ে বিতর্কের সূচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ২২১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১২
