ইন্টারনেটে ব্যক্তিতথ্য নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। এ লড়াইয়ের একপক্ষে আছে ইউরোপীয়ান কমিশন।
ইন্টারনেটে সেবাগ্রহণে ব্যক্তিতথ্যকে আরও নিরাপদ করতে তাগাদা দিচ্ছে ইউরোপীয়ান কমিশন। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে আছে ফেসবুক। তবে গুগল আছে সমঝোতার পথে।
গুগল+ নিয়ে শুরুতেই কোনো দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চাইছে না বলেই এমন অবস্থান বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে অভিযোগ প্রমাণ হলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ইউরো জরিমানা গুণতে হবে।
ইউরোপীয়ান কমিশনের ভিভিয়েন রেডিং জানান, ওয়েবনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহক তথ্যকে বাজার বিপণনে ব্যবহার করতে অবশ্যই অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন।
পর্যবেক্ষক কমিটির মূখপাত্র জানান, এ ডিজিটাল সময়ে ব্যক্তিতথ্যই হচ্ছে অর্থ উর্পাজেনর মূল চাবিকাঠি। তাই এর অপব্যবহার এবং যথেচ্ছা প্রয়োগ মোটেও প্রত্যাশিত নয়। আইনিভাবেও অবৈধ।
অনলাইনে যে কোনো তথ্য নিবন্ধন এবং ব্যবসা প্রচারণায় ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই ব্যক্তির সম্মতি প্রয়োজন। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি রাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্বের প্রতিটি দেশকে ‘তথ্য সুরক্ষা আইন’ এ বিষয়ে সচেষ্ট হতে তাগাদা দিচ্ছে।
বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তিকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ আইনের পক্ষে সোচ্চার হতে একেবারেই নারাজ। তবে গ্রাহকবান্ধব তথ্য অধিকার আইন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবার বেশ আদা-জল খেয়েই মাঠে নেমেছে। এ যাত্রায় গুগল আর ফেসবুক ইউরোপীয় ইউনিয়নের নজরদারি থেকে সহসাই রেহাই পাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময় ১৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১২