হঠাৎ করেই থমকে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আর ব্যক্তিতথ্যের যথেচ্ছা ব্যবহারের চাপে পড়েছে ফেসবুক।
এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনার ঝড় এখন ভারতের ওপর দিয়ে বইছে। ভারতীয় সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং নিবন্ধিত হ্যাকার আঙ্কিত ফাদিয়া জানান, সামাজিক মিডিয়া নিষিদ্ধ এবং বন্ধ করার মাধ্যমে স্পর্শকাতর সামাজিক ঘটনাগুলোর বিষয়ে গণতান্ত্রিক মুক্ত চর্চাকে বাধাগ্রস্থ হবে।
এতে অবাধ সংস্কৃতির ইন্টারনেট মাধ্যম মুখ থুবড়ে পড়বে। এ মুহূর্তে বিশ্বের অনেক দেশেই সর্বাধিক প্রচারিত গণতথ্য মাধ্যম গুগল এবং ফেসবুক আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে গেছে। ভারতেও এ ঘটনা নতুন কিছু নয়।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ফাদিয়া জানান, এ ধরনের প্রযুক্তি টুলস ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণে ভারতে পর্যাপ্ত কারিগরি দক্ষ জনবল নেই। এ কারণেই একে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করা যাচ্ছে না। ফলে সরকার নানাভাবে গণতান্ত্রিক চাপের মুখে পড়ছেন।
এর ফলে সরকার এসব গণমাধ্যম থেকে সাধারণ মানুষকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতেই সোচ্চার হয়ে উঠছে। আরোপ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের নিয়ন্ত্রণ। আর এর ব্যতয় ঘটলেই বন্ধ করা হবে জনপ্রিয় এসব গণতথ্য সেবামাধ্যম। বিশ্লেষকেরাও এমন মতামতই দিয়েছেন।
ফাদিয়া জানান, সাইবারভিত্তিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভারতে প্রচলিত আইনটি যুগোপযোগী নয়। অনেকটা ব্যক্তি উদ্যোগ এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক পন্থায় এসব গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। এদিকে আইন থাকলেও সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেই দক্ষ কারিগরি জনবল। আর থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে মতো আধুনিক সাইবার নিরাপত্তা কাঠামো ভারতের নেই।
এ কারণে সাইবার আইনের সংস্কার এবং এর সুষ্ঠু পরিচালনায় দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। এটাই এ সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে গণমাধ্যমের গণতান্ত্রিক চর্চাকে কোনোভাবেই স্থবির করা ঠিক হবে না বলে বিশেষজ্ঞেরা অভিমত দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১২