ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সফটএক্সপোর২০১২ পর্দা উঠেছে

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১২
সফটএক্সপোর২০১২ পর্দা উঠেছে

ঢাকায় শুরু হয়েছে এবারের ‘বেসিস সফটএক্সপো২০১২’। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) এটি সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার এবং আইসিটি ইভেন্ট।

এবারে মূলমন্ত্র ‘অ্যাস্পাওয়ারিং নেক্সট জেনারেশন’।

২০০৩ সাল থেকে এ ইভেন্ট নিয়মিতই আয়োজন করছে বেসিস। এবারের সফটএক্সপোতে দেশি-বিদেশি ১৪০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।

২২ ফেব্রুয়ারি এবারের প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ সময়ে তিনি বলেন, ভালো কর্মসংস্থানে প্রয়োজন উন্নত সেবা। আর উন্নত সেবা খাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে তথ্যপ্রযুক্তি। এ খাতে তরুণদের অংশগ্রহণ বেশ ভালো। এবারের বেসিস সফটএক্সপোতে সবার অংশগ্রহণে যেমন আলোচনা হবে, তেমন ইনোভেশন, আইডিয়াতে বেশ অংশগ্রহণও থাকবে বলে আশা করেন তিনি।

অচিরেই জনতা টাওয়ারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক চালু হবে বলেও অর্থমন্ত্রী জানানা। তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধাগুলোকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে কাজ চলছে বলেও তিনি জানান।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এ ধরনের প্রদর্শনী বেশ সহায়ক। সফটওয়্যার রপ্তানীতে আমরা অনেক এগিয়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্ম এ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান বলেন, অচিরেই আমাদের দেশে পেপল কাজ করবে বলে সূত্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এরই মধ্যে গ্লোবাল আইটি আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশ দৃষ্টি কেড়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ড অ্যাম্বেসির চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ক্যারেল রিচার, জিপিআইটির চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ক্রিস্টিনা থেরন এবং আহ্বায়ক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বেসিস মহাসচিব ফোরকান বিন কাশেম।

এবারে ৮০টিরও বেশি সেমিনার, টেকনিক্যাল সেশন, ওপেন সেশন এবং বিজনেস ম্যাচমেকিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে। গত যে কোনো আয়োজনের তুলনায় এবারে সফটএক্সপোর ব্যাপ্তী বেশি হবে। প্রবেশ পদ্ধতিতে থাকছে বিশেষ ভিজিটর রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম। এ সফটএক্সপোতে ‘ভাষার মাসে বাংলা ব্লগের একটি মিলনমেলা’ শীর্ষক ব্লগার এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য থাকছে দুটি ভিন্ন সম্মেলন।

এবারের পুরো প্রদর্শনীকে ৭টি ভিন্ন ভিন্ন জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। এসব বিভাগে থাকছে বিজনেস সফটওয়্যার, আউটসোর্সিং, মোবাইল অ্যাপলিকেশন, ক্লাউড অ্যান্ড কমিউনিকেশন, আইটি অ্যানাবল সার্ভিস, আইটি এডুকেশন এবং ইকমার্স জোন।

এ ছাড়াও ওয়ান টু ওয়ান বিজনেস মিটিংয়ের জন্য থাকছে বিজনেস লাউঞ্জ। প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীদের জন্য থাকবে মিডিয়া লাউঞ্জ। এখানে ইন্টারনেট সংযোগ, কমপিউটার এবং প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে আয়োজক সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময় ১৬১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।