অনলাইন ভিডিও সংস্কৃতিতে ‘ইউটিউব’ অন্যতম পথিকৃৎ। ঘরোয়া আর চিত্রবিনোদনের সব ধরনের আয়োজনই মুখর থাকে এ সামাজিক ভিডিও সাইট।
ধীরে ধীরে অনলাইন সংস্কৃতির বিনোদনে অনলাইন টিভিগুলো জায়গা তৈরি করে নিচ্ছে। এ ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় শিল্পখাতে আগ্রহী নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক ছাড়াও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সাড়া দিতে শুরু করেছেন।
এরই মধ্যে নিজের সৃষ্টিকর্মকে অল্প পূঁজিতে লাভজনক বিনিয়োগের উদাহরণ করে তুলেছেন অনেকেই। আর নিজের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে নিজের সৃষ্টিশৈলীকে খুব দ্রুতই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যায়। ফলে দর্শকপ্রিয়তাও টিভি চ্যানেলেও তুলনায় অনেক বেশি।
গুগলও নিজস্ব অনলাইন টিভি তৈরি কাজ করছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আসছে সময়টা আসলে পুরোটাই অনলাইন সংস্কৃতির নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এ খাতে সম্প্রসারণে এ মুহূর্তের বাধাগুলোর মধ্যে ইন্টারনেটের দ্রুতগতি, থ্রিজি নেটওয়ার্ক এবং স্মার্ট পণ্যের বাজার মূল্য।
মূলত ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে অনলাইন টিভির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জরিপ সূত্র মতে, প্রজন্মের বিনোদন চাহিদা আর ব্যস্ততার সমীকরণে অনলাইন বিনোদনই একমাত্র ভবিষ্যৎ সমাধান। এ নিয়ে আর কোনো দ্বিমত নেই। তাই ধুমসে চলছে এ খাতের বিনিয়োগ।
ইউটিউব নিজেকে আরও অনবদ্য আর অপ্রতিরোধ্য করে তুললে সব সময়ই সচেষ্ট। এতগুলো অনলাইনভিত্তিক চ্যানেল সম্প্রচারের ঘোষণাকে তাই ভবিষ্যতে এ শিল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, সৃষ্টি আর সম্ভবনার কথাই বলছে।
তবে কবে নাগাদ এ সব চ্যানেলের সম্প্রচার শুরু হবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ বেধে দেয়নি ইউটিউব। তবে এ বছরেই অনেকগুলো চ্যানেলের সম্প্রচার শুরু হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। আর চ্যানেলগুলো সরাসরি উপভোগের মাধ্যম হবে আইফোন, আইপ্যাড, থ্রিজি সমর্থিত স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং আধুনিক পিসি।
বাংলাদেশ সময় ২২০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১২