সফটএক্সপোতে উঠে আসছে নানামুখি সম্ভাবনা। এবারের আসরে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের সফটএক্সপোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ই-পেমেন্ট অ্যান্ড এম-পেমেন্ট এস অল্টারনেটিভ ট্রানজেকশন’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার। এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন।
তিনি ই-পেমেন্টের কারিগরি সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন। এ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান, সাপোর্ট টু ডিজিটাল বাংলাদেশের (এটুআই) নীতিনির্ধারণী উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী এবং বেসিস সহসভাপতি একেএম ফাহিম মাশরুর।
এ সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশে গত দুই-তিন বছর হলো ই-পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চালু হয়েছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ অনুমোদিত ব্র্যাক ব্যাংক এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক দেশে চালু করেছে সময়োপযোগী এ সেবাটি।
এ সেবা কার্যক্রমের সফলতার জন্য বিকল্প এ অর্থ লেনদেন পদ্ধতি নিয়ে গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করা জরুরি। এ ছাড়াও এ ধরনের সেবাকে জনগণের খুব কাছে নিয়ে যেতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের আগ্রহের সঙ্গে প্রয়োজন সাধারণ ভোক্তাদের অংশগ্রহণ।
তবে ব্যাংকগুলো এ সেবা দিতে প্রস্তুত থাকলেও এ সেবাটি চালিয়ে নিতে খুব বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না। এ মুহূর্তে এ সেবাখাতে ৩০টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তাছাড়া এর সামগ্রিক উন্নয়নে প্রয়োজন ব্যাংকিং ও শিল্পখাতের যৌথউদ্যোগ।
এ মুহূর্তে দেশে অনলাইন পেমেন্ট চালু আছে। তবে তা আকারে খুবই সীমিত। এখনও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা নিয়ে জনমনে নানামুখি আশঙ্কা আছে। এ বিষয়টিকে আরও ভোক্তাবান্ধব এবং সহজবোধ্য করতে অব্যশই প্রচার-প্রচারণার প্রয়োজন আছে।
এ নিয়ে দেশে কাজও শুরু হয়েছে। তবে এ কার্যক্রম আপাতত দুটি ব্যাংকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এ জন্য সরকারকে আরও উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অনলাইন কার্যক্রমভুক্ত বেসরকারি ব্যাংকগুলো এ সেবা সম্প্রসারণে অনুমোদন পেলে এ খাতটি ক্রমেই আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
দেশের মোবাইল অপারেটরগুলোও নিত্যনতুন সেবাভিত্তিক পেমেন্ট সেবা চালু করছে। এতে সরকারি সেবগুলো ধীরে ধীরে ভোক্তাবান্ধব হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে মোবাইল বিল, পানির বিল, গ্যাসের বিল ছাড়াও বহুমুখি সেবামাধ্যমের ব্যয় ই-পেমেন্টের মাধ্যমে দেওয়া শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৬৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১২