ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-ইউটিউবকে দেশে অফিস স্থাপন করতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-ইউটিউবকে দেশে অফিস স্থাপন করতে হবে ...

ঢাকা: দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রে নতুন একটি প্রবিধান তৈরি করতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

‘ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন রেগুলেশন-২০২১’ প্রবিধানটির খসড়া বিটিআরসি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

এই প্রবিধানের ফলে ফেসবুক ও ইউটিউবকে দেশে অফিস স্থাপন এবং কর্মী নিয়োগসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ আসতে পারে।

প্রবিধান অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে বাংলাদেশে কর্মী নিয়োগ, সশরীর যোগাযোগের ঠিকানা, অভিযোগ নেওয়া ও নির্দিষ্ট সময়ে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। আদালত ও বিটিআরসি নির্দেশ দিলে নির্দিষ্ট কনটেন্ট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে।

উচ্চ আদালত বিটিআরসিকে একটি প্রবিধানের খসড়া তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই খসড়াটি তৈরি হয়। নতুন প্রবিধানমালা সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ডিজিটাল মাধ্যম এবং সব ওভার দ্য টপ (ওটিটি) মাধ্যমের জন্য।

খসড়া প্রবিধানমালা অনুযায়ী প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জন-শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে হুমকির মুখে ফেলে এবং সরকারের গোপনীয়তা ভঙ্গ করে, এমন কিছু প্রচার করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত লাগে, এমন কিছু প্রচারে বিরত থাকতে হবে। পর্নোগ্রাফি, গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারী এবং অবমাননা ও মানহানিকর আধেয় প্রচার করা যাবে না। এই প্রবিধানে নিষিদ্ধ আধেয় ব্যবহারকারী মুছে ফেললেও, তদন্তের জন্য ১৮০ দিন সংরক্ষণ করতে হবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে বাংলাদেশে তিনজন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে। ওয়েবসাইটে ও মোবাইল ফোনের অ্যাপে অভিযোগ গ্রহণকারী কর্মকর্তার নাম এবং তার সঙ্গে যোগাযোগের উপায় থাকতে হবে। এই কর্মকর্তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ গ্রহণ করবেন এবং তা ২০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।

প্রবিধানের খসড়া অনুযায়ী, বাংলাদেশে বসবাসকারী একজন প্রতিপালন কর্মকর্তাও (কমপ্লায়েন্স অফিসার) নিয়োগ দিতে হবে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয়ের জন্য একজন প্রতিনিধি থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
এমআইএইচ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।