মোবাইল চার্জার নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। পরে যদিও বাজারে কনভার্টার আসায় বিড়ম্বনা কিছুটা কমলেও পুরোপুরি অব্যাহতি মেলেনি মোবাইল ব্যবহারকারীদের।
ধারণা করা হচ্ছে নতুন এই চার্জার একদিকে যেমন পরিবেশ বান্ধব হবে অন্যদিকে ব্যবহারকারীদের জীবনকে আরো সহজতর করবে। তখন ভ্রমন অথবা ঘরের বাইরে অবস্থানের সময় অযথাই মোবাইলের চার্জার নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না তাদের। হাতের কাছে পাওয়া যে কোন চার্জার দিয়েই সে সময় মোবাইল চার্জ করা সম্ভব হবে। এছাড়া নতুন মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে সবসময় নতুন চার্জারের প্রয়োজন হবে না।
স্পেনের বার্সেলোনাতে চলা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) জিএসএম আ্যসোসিয়েশনের উদ্যোগে, মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল অপারেটর দু’পক্ষই সার্বজননীন চার্জার বানানোর ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌছে।
মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল এলজি, মটোরোলা, নকিয়া, কোয়ালকম, স্যামসাং এবং সনি এরিকসন। অন্যদিকে অপারেটরদের মধ্যে এটিঅ্যান্ডটি, কেটিএফ, মোবিলকম অষ্ট্রেলিয়া, অরেঞ্জ, টেলিকম ইটালিয়া, টেলিফোনিয়া, টেলিনর, টেলস্টার, টি-মোবাইল এবং ভোডা ফোন।
এদিকে পৃথিবীর বৃহৎ মোবাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নকিয়া মনে করছে এমন পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, পৃথিবীজুড়ে চার্জার বর্জ্যের পরিমান অনেক কমে আসবে। কিন্তু কবে নাগাদ গ্রাহকরা এই চার্জার হাতে পাচ্ছে সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য আসেনি নকিয়ার পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে জিএসএম আ্যসোসিয়েশন চলতি বছরেই আধুনিক প্রযুক্তির ‘সার্বজননীন চার্জার’ বাজারে ছাড়তে পারবে বলে আশা করছে।