অনলাইন হ্যাকরারা এখন বিশ্বব্যাপী সক্রিয়। বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যক্তিপর্যায় পর্যন্ত এ আক্রমণ চলছে যখন-তখন।
গত বছর ১৩ বার হ্যাকিংয়ের শিকার হয় যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। নাসার অনলাইন নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট বরাদ্দ আছে ১৫০ কোটি ডলার। কিন্তু ২০১১ সালে এ খাতে মূল বাজেটের অর্ধেক মাত্র ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয় করা হয়।
নাসার মহাপরিদর্শক পল মার্টিন জানান, সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় নাসা। তবুও বাজেট ব্যবহারের নমুনা বলছে গত বছর এ খাতে কম মনযোগ দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই এতগুলো হ্যাকিংয়ের ঘটনার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এ হ্যাকিংগুলোর মাধ্যমে নাসা গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য-উপাত্ত চুরি করা হয়েছে। এতে প্রতিপক্ষ দেশগুলোর হাত আছে বলেও তদন্ত সূত্রে জানানো হয়। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের তথ্য হ্যাক হওয়া দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য মোটেও স্বস্তিকর নয় বলে পল মার্টিন মন্তব্য করেন।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান, মহাকাশ এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, তদন্তে নাসা হ্যাকিংয়ের জন্য চীনের একটি আইপি অ্যাড্রেসকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হ্যাকাররা নাসার পুরো অনলাইন সিস্টেমের মধ্যে প্রবেশ করে। এরপর গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল ফাইল পরিবর্তন, কপি এবং মুছে ফেলার কাজে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ হ্যাকিংগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। আগ্রহীরা (http://bit.ly/yQFSB8) এ ঠিকানায় সুনির্দিষ্ট তথ্য পাবেন।
গত বছর এ হ্যাকের ফলে নাসার ১৫০ জন কর্মীর অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ককে হ্যাকাররা প্রবেশ করে। এরপরই শুরু হয় তথ্যভিত্তিক হ্যাকিং। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় এগুলোর প্রতিটি অ্যাকাউন্টেই হ্যাক হয়। বাগিয়ে নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের স্পর্শকাতর আর মহাকাশ গবেষাণার বিরল সব তথ্য।
বাংলাদেশ সময় ২২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১২