অনির্ধারিত কারণেই ইতি টানতে হলো ঢাকায় প্রথমবার অনুষ্ঠিত এবারের ‘ইনফোকম’ প্রদর্শনী। তিন দিনের ভিন্নধর্মী এ আইটি প্রদর্শনীকে অবশেষে অনানুষ্ঠানিকভাবেই শেষ করতে হলো।
অর্থাৎ প্রদর্শনী শেষ হলো দুদিনে। এ প্রসঙ্গে বিডিওএসএনয়ের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বাংলানিউজকে, এ ধরনের আয়োজনকে নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ করা সত্যিই অপ্রত্যাশিত। এ জন্য ভেন্যু বরাদ্দের অব্যবস্থাপনাকেই দুষলেন তিনি।
ইনফোকমের দ্বিতীয় দিনের শেষভাগে এসে উন্মুক্ত সেমিনারে বক্তারা অনেক সম্ভাবনার কথাই বলেছেন। সঙ্গে বলেছেন সীমাবদ্ধতার কথাও। আর সমাধানও এসেছে কিছুটা। এখনই ডটকমের সিইও শামীম আহসান ব্যবসায়ীক অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে বলেন, এ খাতে শুরুটা হয় দ্রুতই। কিন্তু টিকে থেকে সফল হওয়াটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
কৃষিকদের মোবাইলভিত্তিক তথ্যসেবক উইন উইন ইনকরপোরেশনের প্রধান কাশফিয়া আহমেদ বলেন, কৃষকদের তথ্যভিত্তিক সহায়তা করতেই এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু। পরে তা বাংলালিংকের ৭৬৭৬ কল সেন্টারের মাধ্যমে পূর্ণতা পায়। এ মুহূর্তে প্রতিদিন হাজারেরও বেশি কৃষকদের কল আসে এ নম্বরে।
নতুন উদ্যোক্তা ইমি জানান, চাকরি আর নিজ উদ্যোগে ব্যবসা এ দুটি মধ্যে ব্যবধান আছে। তবে নিজের পুরোটা দিতে নিত্যনতুন উদ্যোক্তা হওয়া ছাড়া উপায় নেই। আর প্রকল্পভিত্তিক উদ্যোক্তা হওয়াটা চ্যালেঞ্জের। আর সাফল্য আসলে তা সবকিছুকেই ছাড়িয়ে যায়।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উপমহাব্যবস্থাপক মুজিবর রহমান বলেন, ঋণ অর্থ উদ্যোগকে সহায়তা। এ জন্য সুদীর্ঘ পরিকল্পনা আর প্রস্তুতির বিকল্প নেই। খুদে উদ্যোক্তাদারে সম্ভাবনাময় প্রকল্পকেই অর্থায়ন করতেই এসএমই ফাউন্ডেশন কাজ করছে। আর আইসিটি খাতের জন্যই আছে থোকবরাদ্দ ঋণ। এখন প্রয়োজন শুধু সঠিক বাস্তবায়নের।
এ সেমিনারে অংশ নেওয়া মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি বলেন, সফল প্রকল্পের জন্য ঋণের অভাব হয় না। তবে শুধু ঋণনির্ভর প্রকল্প অনেক সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এ জন্য ব্যাংক ব্যবসার দিকনিদের্শনা আর আয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায়। আর সফল উদ্যোক্তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তো প্রধান শর্ত।
সবশেষে এ সেমিনারের সঞ্চালক এবং বিডিওএসএনয়ের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, ঋণ, সুদের হার কিংবা অনিশ্চয়তা এসব তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য বড় ধরনের কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। সফল উদ্যোগ গ্রহণ আর সফল হওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগকে সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
এ ইনফোকমে সেবামানের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়। এ ছাড়াও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা, থ্রিজি নেটওয়ার্ক, ফাইবার অপটিক কেবলের ব্যবহার, মোবাইল ব্যাংকিং, ডিজিটাল শিক্ষা, অনলাইন সার্ভিস এ বিষয়গুলো বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।
ইনফোকম টেক বাংলাদেশ-২০১২ আসরের আয়োজক আই স্টেশন। সহআয়োজক ভারতের বিই এক্সপোজিশন। এ আয়োজনে আরও সহযোগিতা করেছে বিসিসি, আইএসপিএবি, বাকো, বিসিটি ও বিডিওএসএন, বিআইজেএফ, বিআইআইসি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান। এখানে আইটি সহযোগী হিসেবে কাজ করছে আমরা নেটওয়ার্ক।
এ ইনফোকম প্রদর্শনীর গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে এটিএন নিউজ, কমপিউটার বার্তা, কমপিউটার জগৎ এবং বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
বাংলাদেশ সময় ০২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১২