রোবট হচ্ছে কৃত্রিম যান্ত্রিক কার্যসম্পাদক। এটি ইলেকট্রো যান্ত্রিক ব্যবস্থায় কাজ করে।
অ্যানড্রইড রোবটকে বিরল এক উদ্ভাবন হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর মাটিতে বসে রোবট অপারেটর যে রকমের অঙ্গভঙ্গি করবে, অ্যানড্রইড রোবট অন্যগ্রহে হুবহু তার নকল করতে পারবে।
মানুষ যদি হাত তোলে, রোবট তুলবে, কোন কলম নিয়ে যদি অপারেটর লিখতে শুরু করে, রোবটও তাই করবে। এ ছাড়ও স্বয়ংক্রিয় অবস্থায় এ রোবট নিজে থেকেই তার প্রোগ্রামে থাকা নির্দেশ অনুসারে কাজ করতে পারবে।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর অ্যানড্রইড প্রযুক্তি বৈজ্ঞানিক উত্পাদন সংস্থার প্রধান আন্দ্রেই নোসভ গনমাধ্যমকে জানান, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষের জীবন। মহাকাশে অনেক ঝুঁকি ও সব কিছুই হতে পারে। রোবট সব রকমের বিপজ্জনক কাজে অপারেটরের নকল করতে পারে। এটি পৃথিবী থেকেই করা হয়ে থাকে।
রোবট যেমন মানুষের কাজের নকল করতে পারে, তেমনই পারে নিজে কাজ করতে। এটা সুবিধাজনক আর তেমন দামি নয়। আবার তত বেশি ঝুঁকিও নেই।
রেডিও রাশিয়া সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪ সালের পরে এ ধরনের অ্যানড্রইড রোবট চাঁদে, মঙ্গল গ্রহে ও অন্য সব গ্রহে পাঠানো শুরু হবে। এ রোবট ছবি ও শব্দ ছাড়াও পৃথিবীতে কিছু স্পর্শের অনুভূতিও পাঠাতে পারবে।
অ্যানড্রইড (এসএআর – ৪০০) রোবটে বিশেষ প্রোগ্রাম যোগ করা হয়েছে। এটি হাতের অংশে অনুভূতি চাপ হিসাবে পাঠাতে পারে। এ তথ্য ডিজিটাল উপায়ে অপারেটরের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। কক্ষপথে নিজেদের অ্যানড্রইড পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন জার্মানি ও জাপানের বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ সময় ২০৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১২