এবারে আর থ্রিজি নয়, ফোরজি নিয়ে হাজির হচ্ছে যুক্তরাজ্য। তাও আবার এ বছরই।
এরই মধ্যে অরেঞ্জ এবং টি-মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি সেবা প্রচলনের জন্য সব ধরনের কারিগরি প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অন্য সব ফোরজি সেবাদাতা আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছেও আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে।
এর আগের আলোচনায় ২০১৩/২০১৪ সালের মধ্যেই ফোরজির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে বলে যুক্তরাজ্য জানিয়েছিল। কিন্তু এত দ্রুত এর বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্য মাঠে তা মোটেও অনুমেয় ছিল না।
সবখানেই ফোরজি নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে ১৮০০ মেগাহার্টজ গতির স্পেকট্র্যাম সরবরাহে লাইসেন্স বরাদ্দের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে। এটি এলটিই (লং টার্ম ইভোলুশন) এবং ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির ইন্টারনেট গতির আরও গতিময় এবং স্বচ্ছ করে তুলবে। ফলে স্মার্টফোনেই অনলাইন টিভির সম্প্রচার আর জনপ্রিয়তা দুটোই সমানে বাড়বে বলে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন।
টেলিকম বিশেষজ্ঞ জেমস বারফোর্ড জানান, এটি টেলিকম অপারেটরদের দারুণ প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করবে। এতে স্মার্টফোনেই রাতারাতি ইন্টারনেট গতিতে বিপ্লব সূচিত হবে। অন্যদিকে পণ্য গতির হিসেবে পিছিয়ে পড়বে বিশ্বের অনেক অপারেটর।
এতে বৈষম্যমূলক বাজার প্রতিযোগিতার বিষয়টিকে একেবারেই উপেক্ষা করছেন না সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা। তবুও ফোরজি প্রযুক্তি নেটওয়ার্ক উপভোগে এখনই অধীর হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি প্রজন্ম।
সময় এখন ফোরজি প্রযুক্তির। বিশ্বের বহু দেশে মোবাইল ফোনভিত্তিক থ্রিজির দিন ফুরিয়ে আসছে। এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্য জুড়ে ফোরজি নেটওয়ার্ক নিয়ে কথা চলছে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
মোবাইল ফোনভিত্তিক প্রযুক্তিতে ‘ও২’ লঙ টার্ম ইভোলুশন (এলটিই) নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় কাজ চলছে। ফোরজি সেবাদাতা ও২ সূত্র জানিয়েছে, এলটিই প্রযুক্তি থ্রিজি প্রযুক্তির তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত গতিতে ডাউনলোড করতে পারে।
এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে ফোরজি নেটওয়ার্কের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩ মাসব্যাপী ও২ সেবাদাতা এলটিই প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক পরীক্ষা করেছে। আর তাতে সফলতাও এসেছে ব্যাপক।
প্রাথমিকভাবে ফোরজি নেটওয়ার্কে ২.৬ গিগাহার্টজ গতির ইন্টারনেট পাওয়া সম্ভব। তবে এ সেবার সম্প্রসারণে ৮০০ মেগাহার্টজ গতির ইন্টারনেট যুক্তরাজ্যে সহজলভ্য হবে। এ গতিতে ডিজিটাল টিভির সম্প্রচারও মোবাইল ফোনে সহজেই উপভোগ করা যাবে।
বাংলাদেশ সময় ২১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১২