ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘বাংলানিউজ-আইইউবি’ জাতীয় উদ্ভাবনীর পর্দা নামলো

আরিফুল ইসলাম আরমান, ভেন্যু থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১২
‘বাংলানিউজ-আইইউবি’ জাতীয় উদ্ভাবনীর পর্দা নামলো

ঢাকা: সাধারণ জ্ঞান ও গণিত প্রতিযোগিতা. বিজ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী প্রদর্শন, মিট দ্য ইনোভেটারস ছাড়াও বহুমাত্রিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো জাতীয় উদ্ভাবনী এবং আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা-২০১২।

দিনব্যাপী ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের উদ্যোক্তা দেশের সক্রিয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ এবং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)।



১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ক্যাম্পাসে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন আইইউবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ওমর রহমান।

এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইউবির স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কমপিউটার সায়েন্স বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের হেড অব নিউজ মেনন মাহমুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘জীবনের সঙ্গে প্রযুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। প্রযুক্তি ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত চলতে পারি না। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ’

মাহমুদ মেনন বলেন, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সর্বাধিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলানিউজ প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলানিউজ আইফোন এবং অ্যানড্রইডে আত্মপ্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় উদ্ভাবনী এবং আন্তঃকলেজ উদ্ভাবনীগুলো বাংলানিউজে তুলে ধর‍া হবে। এর মাধ্যমে খুদে প্রযুক্তিবিদদের এসব আবিষ্কারের খবর পৌঁছে যাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া রাজধানীর আগা খান স্কুলের এ-লেভেলের শিক্ষার্থী নাদিয়া বিনতে ওবায়েদ বাংলানিউজকে বলেন, এবারই প্রথম এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। অনেক ভালো লাগছে। গণিত যে কতো রকমের হতে পারে, তা এ প্রতিযোগিতায় এসে বুঝতে পারলাম।

স্কলাসটিকা স্কুলের এ-লেভেলের শিক্ষার্থী মাহিন আফসান নেহা বাংলানিউজকে জানান, এ প্রতিযোগিতার অঙ্কগুলো অনেক কঠিন ছিল। আমাদের পাঠ্যবইয়ে এ রকম অঙ্ক খুবই কম। কঠিন কঠিন অঙ্কগুলোর সমাধান খুঁজতে ভালোই লাগছে।
একদিকে চলে গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা। অন্যদিকে খুদে উদ্ভাবনের প্রদর্শনী।

গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলের একদল খুদে উদ্ভাবকদের রোদ না থাকলে ভেজা ধান শুকানো পদ্ধতি, স্কলাসটিকা স্কুলের খুদে উদ্ভাবকদের আরও একটি দলের রাস্তায় গাড়ি চলাচল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন,  বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন তরুণের শরীরের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কমপিউটারে গেমস চালানোর পদ্ধতিসহ ৩৮টি বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প।

গেমসটির অন্যতম উদ্ভাবক রাইসুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আসলে সবাইকে বোঝাতে চাচ্ছি, কেবল ছাড়াও শরীরের মাধ্যমে প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। গেমটির নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। আমরা এটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের গেম হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করছি।
বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় মিট দ্য ইনোভেটরস। এতে অংশ নেন বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্প ‘আমার দেশ আমার গ্রাম’ সদস্যরা।

সন্ধ্যা ৬টায় পুরস্কার বিতরণের মাধ্যদিয়ে সারাদিনের বর্ণাঢ্য আয়োজন শেষ হয়। পুরস্কার প্রদান করেন ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি)  স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কমপিউটার সায়েন্স বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার।

সকাল ৮টায় নিবন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় দিনব্যাপী নানা প্রতিযোগিতা। আর বিকেলে পুরস্কার বিতরণে মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী এ আয়োজন।

এ প্রতিযোগিতায় ঢাকার ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী সরাসরি অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশ সময় ১৮২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১২

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।